শিশুর ভাঙা পা রেখে ভালো পায়ে প্লাস্টার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অভিভাবক কোলে ভুক্তভোগী শিশু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

অভিভাবক কোলে ভুক্তভোগী শিশু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ডবয়ের বিরুদ্ধে এক শিশুর ভাঙা পা রেখে ভালো পায়ে প্লাস্টার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালটির ওয়ার্ডবয় জামাল মিয়া এ প্লাস্টার করেন। পরে অবশ্য ওই প্লাস্টার পরিবর্তন করা হয়।

জানা গেছে, বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকালে খালিয়াজুরি উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের পাথরা গ্রামের পরিতোষ সরকারের চার বছরের শিশু প্রীতমের ডান পা ভেঙে যায়। পরে শিশুটিকে তার বাবা পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক শিশু প্রীতমের ভেঙে যাওয়া ডান পা প্লাস্টারের জন্য জরুরি বিভাগে পাঠান।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তানভীর হাসান উপস্থিত না থাকায় ওয়ার্ডবয় জামাল মিয়া ভুলে শিশুটির ভালো পায়ে প্লাস্টার করেন। পরে শিশুটিকে নিয়ে বাসায় চলে যান বাবা পরিতোষ। কিন্তু রাতে অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে শিশুটিকে নিয়ে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে আবার আসেন বাবা। পরবর্তীতে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ময়না নামে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী প্রিতমের ভালো পায়ের প্লাস্টার খুলে ভাঙা পায়ে প্লাস্টার করে দেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ শামছুর আলম বলেন, 'শিশুটিকে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।'