স্বামীকে নিতে আমেরিকা থেকে ফরিদপুরে শ্যারুন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরে শ্বশুরবাড়িতে শ্যারুন খান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ফরিদপুরে শ্বশুরবাড়িতে শ্যারুন খান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে স্বামী আশরাফ উদ্দিনকে (২৬) নিতে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় এসেছেন নিউইয়র্কের নারী শ্যারুন খান (৪০)।

প্রেমের টানে গত বছর ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন শ্যারুন। এরপর ওই বছর ১০ এপ্রিল কাজী অফিসে বিয়ে করেন তারা। প্রায় দেড় বছর পর বুধবার (১ অক্টোবর) তাদের বউভাত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর স্বামীকে নিউইয়র্কে নিতে বাংলাদেশে আসেন শ্যারুন।

বিজ্ঞাপন

ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের মো. আলাউদ্দিন মাতব্বরের ছেলে আশরাফ উদ্দিন। তিনি (আশরাফ) ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় আশরাফ।

শ্যারুন খান আমেরিকান মুসলিম। তিনি নিউইয়র্কে একটি ব্যাংকে কর্মরত বলে জানিয়েছেন। তার বাবা সলেমান খান ও মা এলিজা খান। দুই বোনের মধ্যে শ্যারুন বড়।

বিজ্ঞাপন

আশরাফ জানান, শ্যারুনের সঙ্গে আশরাফের পরিচয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। আশরাফ বলেন, ‘ওর মধ্যে কোনো জটিলতা, সন্দেহ বা অবিশ্বাসের ছায়া দেখিনি। আসলে জীবনে বাচতে হলে শান্তি মুখ্য, বয়স বেশি না কম কিংবা দেখতে ভালো না খারাপ, সেটা বিচার্য কোনো বিষয় নয়।’

শ্যারুন কেনো বাংলাদেশে আশরাফকে বিয়ে করতে ছুটে আসলেন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমেরিকাতে সবাই খুব ব্যস্ত। সেখানে কেউ কারও কোনো খবর নেয় না। কিন্তু পরিচয়ের পর থেকে আশরাফ সব সময় তার খোঁজখবর নিতেন। আশরাফের এমন আচরণে তিনি আপ্লুত।

শ্যারুনের ভাষ্য, প্রেম বা বিয়ে যা-ই বলা হোক না কেনো, এর মূল ভিত্তি হচ্ছে 'কেয়ারিং'। শ্যারুন জানান, এবার তিনি বাংলাদেশে এসেছেন মূলত স্বামীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আশরাফের জন্য ভিসা পেতে যত দিন লাগে, তত দিনই তিনি এখানে থাকবেন।