শাকিলা কবে পাবে প্রতিবন্ধী ভাতা!

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাকপ্রতিবন্ধী শাকিলা খাতুন ও মা রাহিলা বেগম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বাকপ্রতিবন্ধী শাকিলা খাতুন ও মা রাহিলা বেগম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বাকপ্রতিবন্ধী শাকিলা খাতুন (১১)। দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। শাকিলার বিধবা মা রাহিলা বেগম রাত পোহালেই সন্তানদের খাবারের সন্ধানে ছুটেন অন্যের বাড়িতে। কিন্তু একমাত্র প্রতিবন্ধী মেয়ে শাকিলার কপালে এখনও জোটেনি সরকারি সহায়তা ভাতা কার্ড। প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটি ভাতা কার্ডের আকুতি জানান রাহিলা বেগম।

জানা গেছে, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের কিশামত শেরপুর গ্রামের মৃত খুশি মিয়ার মেয়ে প্রতিবন্ধী শাকিলা খাতুন। জন্ম থেকেই স্পষ্টভাষায় কথা বলতে পারে না শাকিলা । এমনকি হার্টে ছিদ্র নিয়েই পৃথিবীর মুখ দেখে শাকিলা। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে সহায় সম্বল হারিয়েছে পরিবারটি।

বিজ্ঞাপন

এমনি এক পর্যায়ে বছর দেড়েক আগে মারা যায় পিতা খুশি মিয়া। এরপর বিধবা জীবনে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন শাকিলার মা রাহিলা বেগম।

এদিকে, শাকিলার বয়স যতই বাড়ছে ততই তার শরীরে নানান রোগে বাসা বাঁধছে। রাহিলা বেগমের ৩ ছেলে ও একমাত্র মেয়ে শাকিলা খাতুন। বড় দুই ছেলে বিয়ে করে তাদের পৃথক সংসার।

রাহিলা বেগম ছোট এক ছেলে ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে চরম দারিদ্রতার মধ্যে দিনযাপন করে আসছেন। এ অবস্থায় যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

অপরদিকে প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণসহ সরকারি ভাতাদি প্রাপ্তীর জন্য সমাজসেবা ও সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে শাকিলাকে দেওয়া হয়েছে একটি স্মার্ট কার্ড যার নম্বর (২০০৮৩২৩৮২০৮০৩৭৮২২-১০)।

রাহিলা বেগম অভিযোগ করে বলেন, সন্তানদের খাবার যোগাতে অন্যের বাড়িতে ছুটতে হয়। একটি ভাতা কার্ডের জন্য প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোনো কাজ হয়নি। তাই প্রতিবন্ধী শাকিলার ভাতা কার্ডের জন্য আকুতি জানান তিনি।

সাদুল্লাপুরের বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীন সরকার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, শাকিলার বিষয়ে অবগত আছি। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা করা হবে।