কিশোরকে উলঙ্গ করে গাছে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, শেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শেরপুরে এক কিশোরকে উলঙ্গ করে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

শেরপুরে এক কিশোরকে উলঙ্গ করে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে এক কিশোরকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে উলঙ্গ করে নারকেল গাছে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পশ্চিম রাজনগর বন্ধুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

এ দিকে শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালে গিয়ে কিশোরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাজনগর বন্ধুপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল চুরি হয়। এ ঘটনায় তারা একই গ্রামের মকবুল হোসেনের তের বছর বয়সী নাতি মনিরুল ইসলাম ওরফে পুতুরাকে সন্দেহ করে। এ সন্দেহের জেরে রোববার মনিরুলকে রাস্তা থেকে ধরে পড়নের লুঙ্গি খুলে কাঁধে ঝুলিয়ে টেনেহিঁচড়ে সালামের বাড়িতে নিয়ে যায় সালামের পুত্র ইসহাক (৩০) ও রবিউল (২০) সহ অন্যরা। পরে তাকে বাড়ির নারকেল গাছে পেছনে হাতমোড়া দিয়ে রশিতে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে পুতুরা অসুস্থ হয়ে যায়। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর তার নানার বাড়ির লোকজন পুতুরাকে ছাড়িয়ে নিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

মধ্যযুগীয় কায়দায় কিশোরকে নির্যাতনে খবরে সোমবার জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালে পুতুরার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

পরে নির্যাতনের শিকার কিশোরের নানা মকবুল হোসেন বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় ৩ জনসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে ইসাহাক ও রবিউলকে গ্রেফতার করে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহুরুল হক জানান, নির্যাতনের শিকার কিশোরের বাবা-মার মধ্যে ছাড়ছাড়ি হয়ে গেছে। পুতুরার মা ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে কাজ করেন এবং কিশোরটি তার নানার বাড়িতে থাকে।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, এ ঘটনায় দ্রুত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।