অবৈধ দখলে খালে পরিণত খাকদোন নদ
পায়রা ও বিষখালী নদীর শাখা বরগুনার খাকদোন নদ। অবৈধ দখলদারদের কবলে খালে পরিণত হয়েছে। বার বার খনন করেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রভাবশালীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো প্রতিনিয়তই দখল করছে নদের দু’পাশ। এতে ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চালাচল।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বরগুনার কাঠপট্টি এলাকার পেছনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) খাকদোন নদের সীমানা পিলার দিয়েছে। কিন্তু সীমানা পিলারের তোয়াক্কা না করে নদের দু’পাড় ভরাট করে পাকা ও আধাপাকা স্থাপনা তৈরি করেছে দখলদাররা।
এদিকে, ধূপতি, চরকলোনী, মাছবাজার, পৌর সুপার মার্কেট ও ক্রোক থেকে শুরু করে বড়ইতলা পর্যন্ত একই অবস্থা। ২৪ কিলোমিটার লম্বা এই নদে দু’পাশ দিয়ে গড়ে উঠছে কয়েকহাজার অবৈধ স্থাপনা।
স্থানীয়রা বলছেন, এক সময়ে এই নদে চলাচল করতো বড় বড় লঞ্চ ও পণ্যবাহী জাহাজ। কিন্তু প্রভাবশালী দখলদাররা যে যার মতো করে নদীর দু’পাড় দখল করে নির্মাণ করছেন বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এইসব স্থাপনা থেকে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় প্রতিদিন৷ খোলা পায়খানার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মলমূত্র পড়ছে। এতে প্রবাহমান নদের গতিপথ প্রায় বন্ধের পথে৷ ফলে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে৷ এভাবে দখল-প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে অচিরেই নৌচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা৷
নৌযান চালকরা বলছেন, একদিকে দখল আর অন্যদিকে বিআইডাব্লিউটিএ সঠিকভাবে ড্রেজিং না করায় নৌযান চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে চরম ভোগান্তি।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দ্রুতই উচ্ছেদ অভিযানে নামবে জেলা প্রশাসন।’