এবারে জমেনি কুষ্টিয়ার ঈদ বাজার

  • ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কেটে ক্রেতা সমাগম তুলনামূলক কম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মার্কেটে ক্রেতা সমাগম তুলনামূলক কম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আজ বাদে কাল পবিত্র কোরবানির ঈদ। মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদের এই খুশিকে ভাগাভাগি করে নিতে সকলের মাঝেই বিরাজ করে ভিন্ন এক আমেজ। যদিও এ ঈদে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে পশু কোরবানি দেয়া, তারপরেও এই ঈদকে ঘিরেও ঈদের পোশাক কেনাকাটা করা হয়।

নতুন কাপড় ছাড়া যেন ঈদের আনন্দই মাটি। হোক খুব দামি কিংবা স্বল্প দামি। আর এই পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমকালো পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। তবে ঈদের বাজার জমে না ওঠায় হতাশ হয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা।

ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহায় ব্যবসায় মন্দা চলছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে কুষ্টিয়ার শহরের এনএস রোড, বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট, পরিমল শপিং কমপ্লেক্স, রজব আলী সুপার মার্কেট, লাভলী শপিংমলসহ বড়বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঈদের কেনাকাটায় শহরের মার্কেট ও বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের আগমন নেই বললেই চলে। কিছু ক্রেতা পাওয়া গেলেও বিত্তবান পরিবার ছাড়া সাধারণ মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে অনেকাংশেই কম।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/11/1565465491175.jpg 

এ ব্যপারে কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এর সহসভাপতি ও শহরের অন্যতম ব্যবসায়ী নীডস টেইলার্সের মালিক এস এম কাদেরী শাকিল বলেন, 'আমাদের ব্যবসাতে একেবারেই মন্দা চলছে। এই ঈদে একেবারেই ক্রেতা কম। তবে আমাদের মূল বেচাকেনা হয়ে থাকে ঈদুল ফিতরের সময়ে। কারণ এই ঈদে সকলেই কোরবানির পশু নিয়েই ব্যস্ত থাকে।' 

তবে এনএস রোডের অঙ্গশোভায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে ক্রেতাদের বেশ সমাগম। দেশি-বিদেশী থ্রী পিসসহ মসলিন কাপড় ও থানের কাপড়ের চাহিদাই বেশি লক্ষ্য করা গেছে। অঙ্গশোভা কতৃপক্ষ জানান, বছরের সবসময়ই দোকানে ক্রেতা সমাগম লেগেই থাকে। তবে এবারে কোরবানির ঈদের কারনে সুতির থ্রী পিস ও থান কাপড়ের চাহিদা একটু বেশি।   

এনএস রোডের কাপড় ব্যবসায়ী কাউছার জানান, মার্কেটের ভালো চাহিদা রয়েছে। কারণ এই কোরবানির ঈদে বেশীরভাগ মানুষই সাধারণ কাজের মধ্যেই পোশাক পরে থাকে। এবার সুতি থ্রিপিসের চাহিদা বেশি। কারন হিসেবে তিনি বলেন, 'কোরবানির ঈদে বিশেষ করে গৃহিনীরা রান্নার কাজে বেশি ব্যস্ত থাকবে, তাই এবারে বেশি জাঁকজমক পোশাক ও ব্যয়বহুল পোশাকের দিকে আগ্রক নেই গ্রাহকদের।'

এছাড়াও শহরের পরিমল শপিং কমপ্লেক্স'র অভিজাত রেডিমেট মার্কেটের পোশাক বিক্রেতা শাহরিয়া ইমন বলেন, 'এখন এমনিতেই বেচাকেনা তেমন একটা নেই। তবে ঈদুল ফিতরের চেয়ে কম দামেই পোশাক বিক্রি করছি।' কারণ হিসেবে বলেন, বেশির ভাগেরই ঝোঁক কোরবানির পশুর দিকে তাই।

এদিকে নাম জানাতে অনিচ্ছুক একজন নারী ক্রেতা বলেন, 'কোরবানী ঈদ ঘনিয়ে আসলেও ঈদের কেনাকাটায় আমরা তেমন একটা উৎসাহী না। কোরবানি দেওয়াই ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শুধুমাত্র ছেলে মেয়ের জন্য পাঞ্জাবী  কিনেছি। এছাড়া মেয়ের জন্য কামিজ-পাজামার কাপড় কিনে দর্জির কাছে তৈরী করতে দিয়েছিলাম।' 

বিজ্ঞাপন