পুকুর ভাড়া নিয়ে চলছে পাট জাগ

  • এস এম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন চাষিরা

কুষ্টিয়ায় পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন চাষিরা

আষাঢ় শেষ হয়ে গেছে, শ্রাবণ মাসও শেষের দিকে অথচ সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কুষ্টিয়ায় পাট জাগ দিতে বিপাকে পড়েছেন পাটচাষিরা। অবস্থা এমই যে পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে চাষিদের।

মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ, স্বরূপদহ ইউনিয়নের পাটচাষি আবু বক্কর জানান, চলতি বছর পাট চাষ করে বিপাকে পড়তে হয়েছে। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় পাট জাগ দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা। আগে তারা এলাকার ক্যানেলে পাট জাগ দিতেন। কিন্তু এবার পানির অভাবে অন্যের পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আরেক চাষি আব্দুল করিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘এবার এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। এই পাট জাগ দেওয়ার জন্য ৮০০ টাকায় পুকুর ভাড়া নিতে হয়েছে। জমি থেকে ট্রলিতে করে পাট আনতে আরও ৬শ’ টাকা গুণতে হয়েছে।’
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/04/1564905732081.jpg
এবার যদি পাটের দাম ভালো না পান তাহলে আগামীতে আর পাট চাষ করবেন না বলেও জানান কয়েকজন পাটচাষি।

কুমারখালী উপজেলার কুসলীবাসা এলাকার কৃষক হাসান আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘এবার আমি ১ একর জমিতে পাটের আবাদ করেছি। পাটগুলো বেশ ভালো হয়েছে। তবে পাট জাগ দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’

অন্যদিকে পুকুরে পাট জাগ দেওয়ার ফলে পানি দূষিত হয়ে পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। মানুষের শরীরে চর্মরোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিলীন হচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/04/1564905754644.jpg
কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, জেলায় এবার পাটের আবাদ হয়েছে ৩৬ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে দৌলতপুরে ১৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ২ হাজার ২৫০ হেক্টর, কুমারখালীতে ৪ হাজার ৬৭৫ হেক্টর, খোকসা উপজেলায় ৩ হাজার ৭৪০ হেক্টর, মিরপুরে ৪ হাজার ৪০ হেক্টর, ভেড়ামারা উপজেলায় ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে।

কুষ্টিয়া পাট অধিদফতরের মুখ্য পরিদর্শক সোহরাব উদ্দিন বিশ্বাস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, কুষ্টিয়ায় একটি মাত্র সরকারি পাটক্রয় কেন্দ্র আছে খোকসা উপজেলায়। জেলায় যদি আরেকটি ক্রয়কেন্দ্র বাড়ানো যেতো তাহলে কৃষকদের অনেক উপকার হতো। সহজেই সরকারি দরে পাট বিক্রি করতে পারতেন তারা।