টুং-টাং শব্দে মুখর শিবচরের কামার পল্লী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মাদারীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কামাররা। কাজের চাপে নিঃশ্বাস নিতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। দিনরাত টুং-টাং শব্দে মুখরিত উপজেলার হাট-বাজার ও কামার পল্লী। কৃত্রিম বাতাসে জ্বলে উঠছে আগুন, আর সেই আগুনে তৈরি করা হচ্ছে দা, বঁটি, ছোরা, চাকু, চাপাতি, কুড়ালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।

শিবচর উপজেলার পাচ্চর বাজার, শেখপুর বাজার, বাবুরহাট, চান্দেরচর বাজার, ভদ্রাসন বাজার, উতরাইল হাট, মাদবরেরচর হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, কোরবানির পশুর মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। ইতোমধ্যে ক্রেতারাও কিনছেন এসব সরঞ্জাম। প্রতিটি তৈরি করা ছোট ছুরি ১শ টাকা, দা ৩শ থেকে ৫শ টাকা, বঁটি ২শ থেকে ৩শ টাকা, চাপাতি ২শ থেকে ৩শ ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564827958219.jpg

উপজেলার পাচ্চর বাজারের কামার সুজন কর্মকার জানান, আগে হাতে বানানো কৃষি যন্ত্রপাতির কদর ছিল। তাই সারা বছর কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে হতো। কিন্তু এখন মেশিনে বানানো যন্ত্রপাতির কদর বেড়েছে। ফলে এখন সারাবছর হাতে তেমন কাজ থাকে না। তবে কোরবানির ঈদের আগে কাজ কিছুটা বাড়ে।

শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর হাটের কামার ঝন্টু কর্মকার জানান, এখন চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়। ফলে দেশি যন্ত্রপাতির চাহিদা কমেছে। তাই সারা বছর অভাব অনাটনের মধ্য দিয়ে কামারদের জীবন কাটে। কিন্তু প্রতি বছর ঈদুল আজহার এই এক দেড় মাস কাজের ব্যস্ততা বাড়ে।

শেখপুর বাজারের কামার শিল্পী বিরেন কর্মকার জানান, নিত্য নতুন ডিজাইনের যন্ত্রপাতি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে মানুষ হাতে তৈরি যন্ত্রপাতি পছন্দ করছে না। কিন্তু বাপ-দাদার পেশা হওয়ায় অনেকে এটাকে আঁকড়ে ধরে আছেন। তবে নতুন প্রজন্ম এ পেশার প্রতি খুব উদাসীন। ফলে এক সময় এ পেশা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।