চলমান বন্যায় গাইবান্ধার সাত উপজেলার ৫১টি ইউনিয়নের অন্তত ৫০০ গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। পানির তীব্র বেগে এসব এলাকার প্রায় সাড়ে ৮০০ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া ২০ কিলোমিটার বাঁধসহ অন্তত ৩০ তেকে ৩৫ টি ব্রিজ-কালভার্টের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে ছয় লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার শুরু থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অনেকে জরুরি কাজ সারতে ছোটখাটো যানবাহন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছেন। বিশেষ করে রোগীদের নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে পৌঁছাতে হিমসিম খাচ্ছে ভুক্তভোগীরা।
এদিকে, গাইবান্ধার বোনারপাড়া, ত্রিমহনি ও বাদিয়াখালি রেলরুটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে ঢাকার সঙ্গে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে অন্যান্য রুটে যাতায়াত করছে রেলযাত্রীরা।
সুন্দরগঞ্জ থেকে আসা জসিম উদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘মামলা সংক্রান্ত কাজে গাইবান্ধা শহরে এসেছি। এ পথের নতুন ব্রিজ রোডের কদমতলীর কেল্লা ব্রিজটি দেবে গিয়ে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মোটরসাইকেলে পার হতে অনেকটাই বিপদজনক মনে হচ্ছিল।’
গাইবান্ধা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর তালিকা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সড়কগুলো মেরামতে কাজ চলেছে ‘