গাইবান্ধায় ১১৪ আশ্রয় কেন্দ্রে ৪২ হাজার বানভাসি

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হাঁটু পানিতেই গ্রামবাসীরা চলাচল করছেন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

হাঁটু পানিতেই গ্রামবাসীরা চলাচল করছেন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

গাইবান্ধা জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি এখনও অব্যাহত রয়েছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, সদর, সাঘাটা ফুলছড়ি, সাদুল্লাপুর উপজেলার ২৭ ইউনিয়নের ২১৩ গ্রামের প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সাড়ে ২৮ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব মানুষদের জন্য ১১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে প্রায় ৪২ হাজার বানভাসি আশ্রয় নিয়েছেন।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত এলাকার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যায় ১০০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, চার কিলোমিটার বাঁধ ও ছয়টি কালভার্ড ভেঙে গেছে। ফসলহানি হয়েছে এক হাজার ২৫০ হেক্টর জমি। এছাড়াও উপচে পড়া পানিতে কৃষকদের তিন শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

বিজ্ঞাপন
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563260293830.jpg
হাঁটু পানিতে চলাচলরত গ্রামবাসী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফর.কম

 

নদ-নদীর অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে আরও শত শত ঘরবাড়ি। ভাঙন আতঙ্কে দিন-রাত কাটছে ওইসব গ্রামের মানুষের। ভুক্তভোগী মানুষদের আবাসন ও বিশুদ্ধ পানিসহ দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।

জেলা শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, যেসব প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে ওইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563260372200.jpg
ডুবে গেছে টিউবওয়েল, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার, শহরের ঘাঘট নদীর পানি ৭০ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্ব) রোখসানা বেগম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। দুর্গতদের ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। যা বিতরণ চলমান থাকবে।’