হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি, ৫ হাজার পরিবার বন্দী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পানিবন্দী তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ। ছবি: বার্তা২৪.কম

পানিবন্দী তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ। ছবি: বার্তা২৪.কম

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে তিস্তার তীরবর্তী প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে ওই পরিবারগুলো।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ৮টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের (৫২.৬০ সেন্টিমিটার) চেয়ে ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি কমাতে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জানা গেছে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি বেশি হওয়াতে ভারতের গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়া হয়। এতে করে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/18/1560872437023.jpg

ফলে তিস্তার পানিতে পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বহুল আলোচিত বিলুপ্ত ছিটমহল আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, পটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চর, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, গোকুন্ডা ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল এলাকার প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

তিস্তাপাড়ের ডালিয়া পয়েন্টের বাসিন্দা সাবের আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে পানির অভাবে তিস্তা বালুচরে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পায়। এতে এখন আমরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছি।’

হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, ইতোমধ্যে পানিবন্দী পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করার জন্য ইউপি সদস্যদের বলা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, তিস্তায় পানি প্রবাহ বাড়ছেই। তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।