হাওরাঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে দর্শনার্থী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে দিন দিনই বাড়ছে প্রকৃতিপ্রেমী সৌন্দর্য পিপাসু দর্শনার্থীদের সংখ্যা। স্বচ্ছ টলটলে জলরাশি, বিস্তীর্ণ হাওরের পানির ঢেউ আর ঢেউয়ের ওপর সূর্যের আলো মন ভুলায় যে কারো।

নেত্রকোনা জেলার মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হাওরাঞ্চল। তবে মদন উপজেলার উচিতপুর এলাকার বালই সেতুটি বর্তমানে হাওরাঞ্চলের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেতুটির দুই প্রান্তে রয়েছে প্রায় দুই কিলোমিটার ডুবন্ত সড়কপথ। সেখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ।

বিজ্ঞাপন

হাওরাঞ্চলে কক্সবাজারের মতো সমুদ্রের ঢেউ না থাকলেও বাতাসের ছোট ছোট ঢেউয়ে নৌকা দোলানোর স্বাদ পেতে প্রতিদিনই অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করছেন। বিশেষ করে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে সকল শ্রেণি-পেশার দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ বেশি। তারা নৌকা বা ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে ঘুরে বেড়ান হাওরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

হাওরে ঘুরতে আসা চাকরিজীবী মাহমুদুল ইসলাম জানান, এখানে এতো লোকজন আসে অথচ কোনো রেস্ট হাউস নেই। নেই খাবার পানি, ওয়াশরুম। খাবারের ভালো কোনো হোটেলও নেই। এগুলো থাকলে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/09/1560086854648.jpg

ময়মনসিংহ থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে আসা শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, ‘স্বল্প আয়ের চাকরি করে আমাদের কক্সবাজারে যাওয়ার সামর্থ্য হয় না। ঈদের ছুটিতে হাওরে এসে ভালোই উপভোগ করলাম। মদনের উচিতপুরকে মনে হল যেন মিনি সমুদ্র সৈকত।’

উচিতপুরের স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, ‘হাওর দেখতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সব বয়সী মানুষ ছুটে আসছে। সারাদিন তারা নৌকায় চড়ে বেড়ায়। হেঁটে বেড়ায় ডুবন্ত রাস্তায়। শিশুসহ অনেকে গোসল করতে হাওরের পানিতে নামে। মাঝে মাঝে প্রচণ্ড বাতাসে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হলে কিছুটা আতঙ্কিতও হয় পর্যটকরা। আতঙ্কিত হই আমরাও। কারণ এখানে কোনো নৌ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।’

মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওয়ালীউল হাসান জানান, হাওরকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় কাজ চলছে। গত বছরই প্রয়োজনীয় যাত্রী ছাউনির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা করাসহ আগামীতে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। আগামী বছর থেকে আর এ অসুবিধাগুলো থাকবে না।