পাকার আগেই বাজারে কাঁচা-আধাপাকা লিচু

  • মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা ও আধাপাকা লিচু। ছবি: বার্তা২৪.কম

মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা ও আধাপাকা লিচু। ছবি: বার্তা২৪.কম

রোজাদারদের আকৃষ্ট করতে বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা ও আধাপাকা লিচু। বাড়তি লাভের আশায় ফল পাকার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বেচাকেনায় মেতেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এতে ক্রেতাও আকৃষ্ট হচ্ছেন। তবে লিচু পাকাতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।

জানা গেছে, জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি থেকে লিচু পাকা শুরু হয়। এখন বৈশাখের শেষ সপ্তাহ। এরই মধ্যে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা যাচ্ছে লিচু বিক্রির দৃশ্য। বিশেষ করে জেলা শহরের হোটেল বাজার, বড় বাজার, গাংনী শহরের বাসস্ট্যান্ডসহ ছোট ছোট হাট-বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা পাকা নয়, আধাপাকা ও কাঁচা অবস্থাতে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557316964656.gif

মেহেরপুর শহরের কাসারী বাজার মোড়ে নিয়মিত ফল বিক্রি করেন খোকন মিয়া। তিনি জানান, লিচু ১৪০-১৬০ টাকা পণে (৮০ পিস) বিক্রি হচ্ছে। পাখির অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়ার দোহাই দিয়ে গাছ থেকে লিচু পাড়া হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে, তাই আমিও বিক্রি করছি।’

মেহেরপুর বাসস্ট্যান্ডের ফলের আড়তের ইজারাদার আমজাদ হোসেন জানান, রমজানে বেশি লাভের আশায় আগেভাগে গাছ থেকে লিচু পাড়া হচ্ছে। পাইকারি ২ হাজার ২শ টাকা কাউন বিক্রি হয়েছে (১৬ পণে এক কাউন)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইফতারি খাবার ও শিশুদের আবদার পূরণ করতে অনেক পরিবারে লিচু কেনা যেন বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557317003094.gif

গাংনী বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার পাশের ফল দোকানের ক্রেতা বেসরকারি একটি কোম্পানির ম্যানেজার আরিফুর রহমান জানান, শিশুদের জন্য লিচু না কিনে উপায় নেই।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৫৭৫ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ হচ্ছে বোম্বাই, চায়না ও মোজাফফর জাতের লিচু।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি জানান, লিচুতে কেমিক্যাল ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা তা মনিটরিংয়ে মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটরা।