ভোলায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ভোলা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লণ্ডভণ্ড পরিবারের বিধ্বস্ত বাড়ি, ছবি:

লণ্ডভণ্ড পরিবারের বিধ্বস্ত বাড়ি, ছবি:

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া ভোলা সদর উপজেলার কোড়ালিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন।

সড়ক থেকে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর কাজ চলছে। এখনো বিদ্যুৎ চালু করা সম্ভব হয়নি। আহতরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছে না। আপদকালিন সময়ের জন্য অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হলেও সেখানে যেতে আগ্রহী হচ্ছেনা ক্ষতিগ্রস্তরা। আশ্রয় শিবিরে থাকা খাওয়ার পরিবেশ না থাকায় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে রাত কাটিয়েছে তারা। অনেকে খোলা আকাশের নীচে থেকে রাতভর বিধ্বস্ত ঘরগুলোর মালামাল পাহারা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/05/1557046097746.jpg

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মছি বেগম জানান, আমাদেরকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বলে, আমরা যাই না। কারণ স্কুলে থাকা খাওয়ার অসুবিধা। এখন কষ্ট কইরা আমরা খোলা আকাশের নিচে থাকি।

মিজাজ চকিদার জানান, মানুষের বাড়িতে থাকি। খাওয়ার কষ্ট, থাকার কষ্ট। রাতেই বেশি কষ্ট হয়। এখন সরকারে কাছে দাবি আমাদেরকে যেন সাহায্য সহযোগিতা করে।

বার্তা২৪ barta24

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো ও রান্না করা খাবার এবং চাল, ডাল, লবণ, পেয়াজ, তেলসহ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। খোলা আকাশের নীচে যারা আছে তাদের জন্য নিকটবর্তী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় শিবির খুলে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের জন্য নগদ ৬ হাজার টাকা ও ২ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ করা হয়েছে, যা আজ কালের মধ্যেই বিতরণ করা হবে। আগামীতে যাতে ঘর তুলে ক্ষতিগ্রস্তরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেজন্য সর্বাত্মক সহায়তা করার কর্মসূচি নেয়া হবে।

বার্তা২৪ barta24

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ভোলায় ৭২টি ঘর সম্পূর্ণরূপে এবং ১৭৪টি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সহস্রাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।