নেত্রকোনায় ৪ বছরের এক শিশু খালু কতৃক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত খালু সাহেব আলীকে (৩২) আটক করেছে। তিনি সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় শিশুটিকে নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাসপাাতলে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার (২০) সকালে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের ওসিসি বিভাগের কর্মকর্তা এস এম সেলিম জানান, শিশুটির অতিরিক্ত ব্লিডিং হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ পাঠানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির সাথে থাকা তার আরেক খালা বলেন, ‘শিশুটির বয়স ৪ বছর ৩ মাস। মঙ্গলবার মাগরিবের আজানের পর খালি ঘর পেয়ে তার এক বোনের জামাই সাহেব আলী ওই কাজটি করে। শিশুর চিৎকারে সবাই এগিয়ে এসে ঘরেই তাকে আটক করে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এ সময় শিশুটিকে বাঁচাতে সবাই হাসপাাতলে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল থেকে বুধবার সকাল ৯টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটির শরীরে রক্ত দেওয়া হচ্ছে।’
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্তকে ধরে এনেছি। শিশুটিকে ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়ায় মামলা এজাহারের অপেক্ষায় আছি।’
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক সংবাদকর্মী আলপনা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ধর্ষকদের জন্য সরাসরি মামলা নেওয়া হোক বাদী ছাড়াই। সেই সাথে একটি অবুঝ শিশুর সাথে এমন অচরণ বর্বরতাকেও হার মানায়।’
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এমন অপরাধীদের ফাঁসির ব্যবস্থা করে মানুষকে সচেতন করার দাবীও জানান তিনি।