নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের ঘাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে মসলার মিল এবং মনোহারী ও চায়ের দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ফলে মিলের শব্দে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি আমীর আজম খান (বুলবুল মাস্টার) দীর্ঘদিন ধরে মসলার মিল নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে আছেন। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে মিল চালু থাকলে মসলা ও মরিচের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্দি, কাশিসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কমে যাচ্ছে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির সংখ্যা।
জানা গেছে, আমীর আজম খান পরিচালনা কমিটির সভাপতি হওয়ার আগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে মরিচ ও মসলার মিল তৈরি করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক অভিভাবক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অচিরেই মিল না সরালে যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব চন্দ্র সরকার বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে দায়িত্ব নিয়েছি। ফলে এ বিষয়ে বিস্তারিত আমি জানি না। তবে বিদ্যালয়টির মোট ৫৮ শতাংশ জায়গা আছে বলে শুনেছি। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। ফলে কর্তৃপক্ষই বিদ্যালয়ের জায়গা নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
এ বিষয়ে আমীর আজম খান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের জায়গায় নয়, আমি নিজের জায়গার মিল নির্মাণ করেছি।’
তবে নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’