ঝুঁকিতে তিস্তা রেল সেতু, বন্ধ হতে পারে রেল যোগাযোগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঝুঁকিতে তিস্তা রেল সেতু, ছবি: বার্তা২৪

ঝুঁকিতে তিস্তা রেল সেতু, ছবি: বার্তা২৪

সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য তিস্তা নদীর উপর নির্মিত হয় তিস্তা রেল সেতু। সারাদেশের সাথে সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে একমাত্র তিস্তা এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ রেল সেতু দিয়ে প্রতিদিন ২০টি ট্রেন লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে। যার ফলে যে কোন সময় লালমনিরহাটসহ সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

জানাগেছে, রাজধানীসহ সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য তিস্তা নদীর উপর নির্মিত হয় তিস্তা রেল সেতু। নর্দান বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১৮৩৪ সালে ২ হাজার ১ শত ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণ করে। ১৮৩৪ সালে নির্মিত সেতুটির মেয়াদ ওই সময় ধরা হয়েছিল ১ শত বছর। বর্তমানে যার বয়স চলেছে ১ শত ৮৫ বছর। অর্থাৎ মেয়াদের প্রায় দ্বিগুণ সময় পার করছে এ রেল সেতুটি।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/20/1550619869453.jpg

অবশ্য রেলমন্ত্রী নজরুল ইসলাম সুজন সম্প্রতি বলেছেন, 'ঝুঁকিপূর্ণ লালমনিরহাট রেল সেতুর পাশে আরও একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।'

সেতুটির উত্তর পাশ্বে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম ও দক্ষিণ পাশে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা অবস্থিত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিত মিত্র বাহিনীর বোম্বিং করায় একটি গার্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হলে কিছুদিন বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। পরে ১৯৭২ সালে সংস্কারের পর সেতুটি পুনরায় আবারো চালু হয়।

ওই এলাকার কলেজ ছাত্রী নুর নিঃশর্ত জাহান বলেন, 'উত্তরাঞ্চল মানুষের একমাত্র ভরসা তিস্তা রেল সেতু। সেটিও বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে। তিস্তা রেল সেতুটি যেকোনো সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।'

তিস্তা পাড়ের আলিমুদ্দিন বলেন, 'প্রতিদিন অনেক ট্রেন চলাচল করে এই সেতু দিয়ে অথচ এটির কোন গুরুত্ব নেই প্রশাসনের। জন্মের আগের সেতুটি কি আর এভাবেই থাকবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বার্তা২৪কে জানান, তিস্তা রেল সেতুটি মেয়াদ শেষ হলেও এটি আরো একশত বছর চালানো সম্ভব। এটি কখনো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। এবারো সেতুটি সংস্কার করা হয়েছে। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে ট্রেন চলাচল করতে পারবেন বলেও তিনি জানান।