অবৈধ জমি দখল, অন্যের জমিতে বসতবাড়ি স্থাপন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

গাইবান্ধার রসুলপুর ইউনিয়নের বড় দাউদপুর গ্রামস্থ অন্যের জমি দখলের চেষ্টায় বসতবাড়ি ও মন্দির স্থাপন করেছে ভূমিদস্যুরা। এ ঘটনায় সাদুল্লাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি এমন পরিস্থিতিতে চরম বেকায়দায় পড়েছে জমির মালিক।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের একবারপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ মিয়া বড় দাউদপুর মৌজাস্থ জেএল নং ৬৩, এস খতিয়ান ৪৫, এ-৪৮ দাগের ১১৮২, ১১৮২/১৬৩৯ তফসিলে ২ একর ৯৪ শতক কবলা খরিদ করেন। বর্ণিত তফসিল জমির দাতারা হলেন, বিরেন্দ্র নাথ, আঃ করিম মিয়া, গজেন্দ্র নাথ, মোজাম্মেল মিয়া, ক্ষিতিশ চন্দ্র, গিরিস চন্দ্র, বিরেন্দ্র নাথ, স্বপন ও রইচ মিয়া।

বিজ্ঞাপন

এরপর আব্দুল হামিদ মিয়া বর্নিত জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখলে চাষাবাদ করে আসেন। ধারাবাহিকতায় আব্দুল হামিদ মিয়া মারা যাওয়ার পর তার ওয়ারিশগংরা প্রায় ৪৫ বছর ধরে ওই জমিতে ফসল উদপাদন করে আসছিলেন। এদিকে বেশ কিছু দিন ধরে আব্দুল হামিদের ছেলে হোসাইন রহমান সহ অন্যান্য ওয়ারিশগং এলাকার বাহিরে অবস্থান করে আসছে।

এ সুবাদে বড় দাউদপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান, তাজু মিয়া, হালিম মিয়া, ও এনায়েতপুর গ্রামের দীনেশ চন্দ্র বর্মন সহ আরো অনেকে ওই জমি জোরপূর্বক দখলের জন্য ঘরবাড়ি স্থাপন করে। এ ঘটনায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল হামিদের ছেলে হোসাইন রহমান তফসিল জমিতে গিয়ে ঘরবাড়ি নির্মানে বাধা প্রদান করেন।

এসময় অবৈধ দখলদারীরা হোসাইন রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়। উল্লেখিত ঘটনায় আব্দুল হামিদের মেয়ে হাজেরা খাতুন সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে সাদুল্লাপুর থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার এসআই হেলাল ঘটনাস্থ তদন্ত করেন। বিদ্যামান পরিস্থিতিতে অবৈধ দখলকারীরা বাদীগংদের অশ্লিল ভাষায় গালমন্দ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করছে। এর ফলে বাদী পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

এ বিষয়ে বর্তমান ঘরবাড়ি স্থাপনকারী দীনেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, তফসিল বর্নিত জমি আমার দাদা রমেশ চন্দ্রের নামীয়। যা বর্তমান রেকর্ড রমেশের নামে আছে। সে সূত্রে আমরা জমির মালিক হয়ে জমিতে ঘরবাড়ি স্থাপন করেছি।

হোসাইন রহমান বলেন, উক্ত জমির মালিক ক্রয় সুত্রে আমার বাবা আব্দুল হামিদ মিয়া। গত ৯৫/৯৬ সনে রেকর্ড চলাকালীন সময়ে আমরা এলাকার বাইরে থাকার কারনে কোনো যোগাযোগ করতে পারি নি। এর ফলে মাঠ আমিন ভুলবসত আরএস সিএস খতিয়ান মূলে রমেশের নামে রেকর্ডভূক্ত করেন। এ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।