উন্নয়ন করলে মশার জন্মস্থান থাকে কী করে: গয়েশ্বর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা: জন আতঙ্ক ও সরকারের দায়বদ্ধতা শীর্ষক আলোচনা সভা

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা: জন আতঙ্ক ও সরকারের দায়বদ্ধতা শীর্ষক আলোচনা সভা

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যদি সঠিকভাবে উন্নয়নই করেন তাহলে মশার জন্মস্থান থাকে কী করে? যেটা করলে বেশি টাকা পকেটে নেওয়া যায় সেই উন্নয়ন করছেন।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডেঙ্গুর ভয়াবহতা: জন আতঙ্ক ও সরকারের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে অপরাজেয় বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ডেঙ্গু এখন গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিস্তার লাভ করেছে। এডিস মশা মারার জন্য আগে থেকে সরকারের যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল তা করা হয়নি। চারদিকে এডিসের প্রকোপ যখন বেশি তখন নানা কথা হচ্ছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, স্থানী সরকার প্রতিমন্ত্রী বলেছেন— ‘দেশ উন্নত হচ্ছে বলেই ডেঙ্গু হচ্ছে। দেশ যত উন্নত হচ্ছে এর প্রকোপ তত বেশি হচ্ছে।’ তবে আমাদের দেশে ডেভেলপমেন্ট যত বেশি হচ্ছে তত দুর্নীতি বাড়ছে, ততই টাকা লুটপাট হচ্ছে। উন্নয়নের সাথে যে ডেঙ্গুর সম্পর্ক নাই, এটা সাধারণ মানুষ বোঝে। তা না হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা বলছেন কেন? ড্রেন-কালভার্টে ওষুধ ছিটাচ্ছেন কেন? যদি এত সঠিকভাবে উন্নয়নই করেন তাহলে মশার জন্মস্থান থাকে কী করে? কোনটা করলে বেশি টাকা পকেটে নেওয়া যায় সেই উন্নয়ন করছেন।

তিনি বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে ডেঙ্গুর সম্পর্ক নেই। উন্নয়নের সঙ্গে ডেঙ্গুর সম্পর্ক সাংঘর্ষিক। যেখানে উন্নয়ন সঠিকভাবে হয় সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকবে, যা উন্নয়নের অংশ। সেখানে তো মশা জন্ম নিতে পারে না। কিন্তু ডেঙ্গুর কারখানা আপনারা বেশি বেশি তৈরি করেন। রাস্তায় গর্ত খনন করে রাখেন, ডোবা নালা যদি পরিষ্কার না করেন, এগুলোই ডেঙ্গুর কারখানা। সে কারণেই বলছি এ ধরনের পাণ্ডিত্য কোন দেশে চলে? বাংলাদেশের মানুষের বুদ্ধি কম থাকলেও মুর্খ না, যে তারা কোনো কথা বোছে না।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, অদৃশ্যমান আর দৃশ্যমান ডেঙ্গু দেখছি গত ১০-১১ বছর যাবত। আরেক ডেঙ্গুর কামড়ে তো খালেদা জিয়া ছটফট করছেন জেলখানায়, সেখানে কিন্তু ওষুধ নাই। প্রতিহিংসা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত, আইন এবং নিয়মের বহির্ভূত যত ধরনের নির্যাতন আছে তা খালেদা জিয়ার উপরে চলছে।

তিনি বলেন, আমরা শেখ হাসিনার কাছে বার বার খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তিনি মুক্তি দেবেন এই কথা কেউ বিশ্বাস করবে? খালেদা জিয়ার তো জেলে যাওয়ারই কথা না। ডেঙ্গুর কামড়ে মানুষ মরে পাঁচদিন সাতদিনে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে যে ডেঙ্গু কামড় দিয়েছে তা তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছাড়বে না।

আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহিদুল্লাহ, তাঁতীদলের যুগ্ম-আহবায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জাতীয়তাবাদী চালকদলের সভাপতি জসিম উদ্দীন কবির, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।