আ’লীগ ছদ্মবেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করছে: ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, পুরোনো ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, পুরোনো ছবি

নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ছদ্মবেশে দেশে বাকশাল (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, এই আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনতাকে ধ্বংস করেছিল। আজকে ৪৮ বছর পর আবার ঠিক একইভাবে তারা নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে ছদ্মবেশে দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। আজকে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সম্পূর্ণভাবে বিপন্ন হয়েছে, সত্যিকার অর্থেই দেশের গণতন্ত্র সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে।

বিজ্ঞাপন

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) -এর মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালের যে চেতনা, আদর্শকে সামনে নিয়ে এই দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ আজকে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীন মানে কী? স্বাধীনতা মানে কী? একটা ভূখণ্ডের স্বাধীনতা, স্বাধীনতা মানে কি শুধু একটি পতাকা? না, স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে, এই ভূখণ্ডে বাস করে যারা তাদের স্বাধীনতা। তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং তাদের মুক্তির স্বাধীনতা। যা পুরোপুরি ধবংস করে দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553524940674.jpg

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার চিকিৎসা পর্যন্ত দিচ্ছে না, এমন অভিযোগ করেন দলটির মহাসচিব। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের মানুষের প্রাণের নেতা, গণতন্ত্রের প্রতীক। সারা জীবন ধরে এই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন তিনি। এই নেতা এখন পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে। প্রতিদিন তার শরীর খারাপ হচ্ছে। কী দুর্ভাগ্য ও ভয়ংকর যে, এই ভয়াবহ সরকার তার চিকিৎসা পর্যন্ত করছে না। আজকে আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করব। তাকে মুক্ত করলেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করা হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।