ভোটারদের ভয় কাটাতে সেনাবাহিনীর মাইকিং দাবি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু/ ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু/ ছবি: বার্তা২৪.কম

পুলিশকে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধা উল্লেখ করে অবিলম্বে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নগরীজুড়ে মাইকিং করে ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানোর দাবি জানিয়েছেন খুলনার ধানের শীষের প্রার্থীরা।

শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে খুলনা নগরীর কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবি জানান খুলনা-২ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/28/1546006092852.gif

একই দাবিতে খুলনা-১ ও খুলনা-৩ আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী আমীর এজাজ খান ও রকিবুল ইসলাম বকুলও সংবাদ সম্মেলন করেন।

বিএনপি’র প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ-ডিবি এখনও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে এবং এলাকা ছেড়ে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছে। ফলে পোলিং এজেন্ট ও সেন্টার কমিটির দায়িত্ব নেবেন এমন নেতাকর্মী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ‘ভোটের মাত্র দুই দিন বাকি থাকলেও পুলিশ ও ডিবির গণ গ্রেফতার অভিযানে নেতাকর্মী কারাগারে থাকায় কোনো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। পোলিং এজেন্ট নিয়োগ, তাদের কাছে নির্বাচনী উপকরণ ও সামগ্রী পৌঁছানো, বুথ স্থাপন, খাবার পৌঁছানোসহ অনেক কাজ করা যাচ্ছে না।’

অবিলম্বে ভোটকেন্দ্রে অনাকাঙিক্ষত ব্যক্তির প্রবেশ বন্ধে পদক্ষেপ, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের ডিউটি কার্ড প্রদান ও বিএনপি’র সকল ওয়ার্ড অফিস খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/28/1546006115282.gif

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র ও নগর বিএনপ‘র সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, বিজেপির সভাপতি এড. লতিফুর রহমান লাবু, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা নাসিরউদ্দিন, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আক্তার জাহান রুকু, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু প্রমুখ।

এরপর রিটার্নিং অফিসারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।