বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়তে ১৪ প্রস্তাবনা আসছে!

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়তে ১৪ প্রস্তাবনা নিয়ে আসছে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।

এই সব প্রস্তাবনা আগামীকাল শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন  জাতির সামনে তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতার ভারসাম্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিকল্প ধারার বি চৌধুরী, জেএসডির আসম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার লক্ষ্যে যুক্তফ্রন্ট ৯ দফা প্রস্তাব নির্ধারণ করে। লক্ষ্য, ‘ক্ষমতার ভারসাম্য ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণ।’

অপরদিকে, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ৭ দফা প্রস্তাব করে।

এদিকে যুক্তফ্রন্টের ৯ দফা ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ৭ দফার সমন্বয় করে ১৪ দফা প্রস্তাব নিয়ে অভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন চুড়ান্ত হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে জেএসডি, বিকল্পধারা, গণফোরাম ও নাগরিক ঐক্য এই অভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করে। যেখানে ৫ দফা দাবি ও ৯টি লক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সূব্রত চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে জানান, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা থাকলে সেখানে অনুমতি পাওয়া যায়নি। জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ১৪ দফা ঘোষণা দিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যাবেন ড. কামালসহ নেতৃবৃন্দ। তবে ১৪ দফার বিষয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ৫ দফায় দাবির মধ্যে রয়েছে-

১। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করা, তফসিলের আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রোডম্যাপ নির্ধারণ, সংসদ ভেঙ্গে দেয়া, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনের আগে ও পরে ম্যাজিস্ট্রিসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন, ইভিএম বাতিল, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা।

২। নির্বাচনকালীন সরকারের কোনও ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ না নেয়া।

৩। সংবিধানের সাত অনুচ্ছেদে বর্ণিত ধারাকে সমুন্নত করে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে।

৪। স্বাধীন ও ক্ষমতাসম্পন্ন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

৫। গণমূখী প্রশাসন তৈরি করা, রাষ্ট্রের আর্থিক শৃঙ্খলা আনা, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করা।

এছাড়া ৯টি লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম- ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, সরকার, সংসদ, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে, দেশের ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ, বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়ন, দুর্নীতির বিচার করা, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি।

এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। 

‘তিনি বলেন, ঐক্য হবেই। ঐক্য হয়ে গেছে। জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি হয়ে গেছে। এখন এটাকে আরও সংঘবদ্ধ করতে হবে, সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।’