একের পর এক ধামাকা দিয়েই যাচ্ছেন বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। সঙ্গীতাঙ্গনে রাজত্ব করছেন আপন মহিমায়। আসিফিয়ানরা যেমন অপেক্ষায় থাকেন কখন আসবে যুবরাজের নতুন ধামাকা, তেমনি যুবরাজও উতলা হয়ে যান নতুন গান ভক্তদের উপহার দেওয়ার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় এবার যুবরাজ নিয়ে আসছেন নতুন গান ‘লাশ’।
প্রিন্সের কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন মীর মাসুম। সাজেকের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়ন করে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৈকত নাসির। এতে আসিফের সঙ্গে মডেল হয়েছেন স্নিগ্ধা ও ফারহান খান রিও।
বিজ্ঞাপন
নতুন গানটি প্রসঙ্গে আসিফ আকবর বলেন- “কিছু গান বেঁচে থাকে চিরকাল, ‘লাশ’ চিরকাল বেঁচে থাকার মতো একটি গান। গানটি আমার যেমন প্রিয়, তেমনি ধ্রুব দাদার অনেক প্রিয়। সৈকত নাসিরের ভিডিও মানেই নতুন কিছু। এই ভিডিও তার ব্যতিক্রম না। ভালো লাগবে সবার।”
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হবে ‘লাশ’ গানটির ভিডিও। পাশাপাশি গানটি শুনতে পাওয়া যাবে ডিএমএস ওয়েব সাইট, জিপি মিউজিক এবং বাংলালিংক ভাইবে।
চিত্রনায়িকা নিপা আহমেদ রিয়েলির চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০২১ সালে অনন্য মামুন পরিচালিত ‘মেকাপ’ সিনেমার মাধ্যমে। হাতে রয়েছে ঈদুল ফিতরের উদ্দেশ্যে নির্মিত ‘খোদা হাফেজ’ সিনেমাটি। এই নায়িকা বার্তা২৪.কমের ক্যামেরার ধরা দিয়েছেন ভিন্ন আমেজে। তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ
মাসিদ রণ: আপনার তৃতীয় ছবি ‘খোদা হাফেজ’-এর টিজার মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি নিয়ে জানতে চাই...
নিপা আহমেদ রিয়েলি: টিজারে আমরা বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি। দর্শক বলেছে, আমাকে তারা নতুনভাবে দেখতে পাচ্ছে। আসলেই তাই, এর আগে আমার যে দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে (‘মেকাপ’ আর ‘ক্যাসিনো’) তাতে গ্ল্যামারাস চরিত্রে অভিনয় করেছি। তবে এই সিনেমায় আমাকে একেবারেই সাদামাটা একটা মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে। ছবিটির শুটিং পুরোপুরি শেষ। শুধু একটি গানের কাজ বাকী। পুরো শুটিং দেশে হলেও গানের শুটিং করতে আমরা বিদেশের লোকেশনে যাব বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনিক বিশ্বাস পরিচালিত এই ছবিতে আমার বিপরীতে আছেন সাঞ্জু জন আর নবাগত দিদার। ঈদুল ফিতরে ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা করছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। আশা করছি দর্শক ছবিটি পছন্দ করবেন।
মাসিদ রণ: হাতে আর কোন কাজ আছে?
নিপা আহমেদ রিয়েলি: আমি আসলে সিনেমার অভিনেত্রী হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছি। তাই যে কোন কাজ পেলেই করছি না। শুধু টাকার কথা ভাবলে হয়তো মডেলিং, টিভি নাটক কিংবা শো রুম উদ্বোধনের কাজগুলো করতাম। শুধু ভালো মানের সিনেমাতেই কাজ করতে চাই, যাতে দর্শকের একটা আস্থা তৈরি হয় আমার ওপর।
তবে বর্তমান সময়ে ওটিটি দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই সিনেমার পাশাপাশি একটি ওয়েব সিরিজের কাজ করেছি। সেটিও পরিচালনা করেছেন আমাদের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নির্মাতা সৈকত নাসির। সিনেমার আদলেই ‘নেটওয়ার্ক’ নামের সিরিজটির শুটিং করেছেন তিনি। আমরা পরপর দুই সিজনের কাজ শেষ করেছি। এখন ভালো একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে সিরিজটি। এই সিরিজে আমাকে অ্যাকশন লেডি হিসেবে দেখতে পাবেন দর্শক।
আমার কাজের দিকে খেয়াল করলে দেখবেন প্রতিটি চরিত্রই একটি থেকে আরেকটি ডিফরেন্ট। আমি আসলে অভিনয়টা খুব ভালোবাসি। অভিনয় নিয়ে অনেক দূর যেতে চাই। তাই নিজেকে সব ধরনের চরিত্রে দেখতে চাই।
মাসিদ রণ: অভিনয় ব্যস্ততার মাঝে প্রেম-ভালোবাসার জন্য সময় পান?
নিপা আহমেদ রিয়েলি: আমি আসলে এখনই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমি চাই আমার কাজ নিয়েই যেন আমাকে নিয়ে আলোচনা হয়। এজন্য দেখবেন আমাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অতোটা চর্চা নেই। কারণ, খুবই সচেতন থাকি এসব নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল হতে হবে এমন কোন কাজ বা এমন কোন কথা বলি না। এমনকি যে সব টক শোতে শিল্পীদের ডেকে নিয়ে ব্যক্তিগত বিষয়, জামা কাপড়ের দাম, সুগার ড্যাডি আছে কি না, এটা কে কিনে দিলো? ওটা কে কিনে দিলো- এসব প্রশ্ন করা হয় সেসব অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেও যাই না।
মাসিদ রণ: ঢালিউডে আপনি নতুন। নতুনদেরকে এই ইন্ডাস্ট্রি কতোটা সহজে গ্রহণ করে বলে আপনি মনে করেন?
নিপা আহমেদ রিয়েলি: আসলে নতুন পুরনো সব ধরনের শিল্পী নিয়েই তো ইন্ডাস্ট্রি চলে। ফলে নতুন বলে কাউকে এই ইন্ডাস্ট্রি দূরে সরিয়ে দেয় না। দিলে প্রতি বছর নতুন শিল্পী আসতো না। তবে এটাও ঠিক যে, একজন নতুন শিল্পী নিজেকে প্রমাণ করার জন্য উপযুক্ত সুযোগটুকু সহজে পান না। আমার মনে হয় সুযোগটা অন্তত দেওয়া উচিত, তাহলে না বোঝা যাবে কে কতোদূর যেতে পারবে।
আর নতুনদেরও ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে কিছু শিখে আসতে হবে। দূর থেকে শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির গ্ল্যামার দেখে চলে আসলে হবে না। এটাও অনেক কষ্টের জায়গা, সবাই অনেক পরিশ্রম করে নিজের জায়গা নিজে তৈরি করেন। ফলে কাজ করতে হলে অভিনয়, নাচ, কথা বলা, ফ্যাশন সেন্স- এসব একটু হলেও শিখে তারপর আসা উচিত।
মাসিদ রণ: অভিনয় নিয়ে আপনার অনেক স্বপ্নের কথা বললেন। কিন্তু বিয়ের পর যদি শশুরবাড়ি থেকে কোন বাঁধা আসে?
নিপা আহমেদ রিয়েলি: আমি যেহেতু অভিনয়টা চালিয়ে যেতে চাই, তাই অবশ্যই এমন কাউকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেবো যিনি আমার অভিনয় পেশাকে সম্মান করবেন এবং সাপোর্ট করবেন।
মাসিদ রণ: জীবনসঙ্গীর মধ্যে কোন গুণগুলো প্রত্যাশা করবেন?
নিপা আহমেদ রিয়েলি: জীবনসঙ্গী হিসেবে আমার খুব বেশি চাওয়া নেই। তাকে আমি স্পেস দেবো, সব বিষয়ে নাক গলাবো না। সে এতোদিন যেভাবে বড় হয়েছে আমি চাইবো না সেসব ভুলে নিজেকে বদলে ফেলুক। শুধু এইটুকু চাই, যেন আমার সঙ্গে তিনি সবকিছুতে সৎ থাকেন। অনেক টাকা পয়সাওয়ালা মানুষও আমি চাই না। অতো টাকা পয়সার পেছনে ছুটলে তো নিজেই শোবিজে অনেক ধরনের কাজ করতে পারতাম। আমি তা না করে শুধু ভালো কিছু চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছি। সেটা করতে পারলেই আমার সন্তুষ্টি হবে।
মাসিদ রণ: শোবিজে নারীদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়া নতুন কিছু নয়। আপনার ছোট্ট ক্যরিয়ারে এমন কিছুর সম্মুখীন হতে হয়েছে কি?
নিপা আহমেদ রিয়েলি: অবশ্যই যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। খারাপ প্রস্তাব দেয়াটাকেও আমি যৌন হয়রানি বলেই মনে করি। আমি সিনেমায় অভিনয় করতে এসেছি, অনেক বেশি সততার সঙ্গে কাজটি করতে চাই। এখন কেউ যদি আমাকে কাজ দেয়ার কথা বলে অন্য উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় তাহলে তারসঙ্গে কখনোই কাজ করবো না। কিন্তু কাজের সূত্রে মিটিং-এ গিয়ে আমাকে বাজে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি সোজাভাবে তাদের জানিয়ে দিয়েছি আমি অনৈতিক কিছু করে কাজ করতে চাই না।
তবে একটা কথা বলতে চাই। শুধু শোবিজে নয়, সমাজের যে কোন ক্ষেত্রেই কিন্তু নারীদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়। রাস্তায় একটি মেয়ে হাটলে অনেক পুরুষ তাকে খুব বাজেভাবে দেখে। এটাও তো এক ধরনের যৌন হয়রানি। তবে আমরা মেয়েরা সব সময় এগুলোকে আমলে না নিয়ে শুধু কাজটাই করি। তবে সীমালঙ্ঘন করলে অবশ্যই সেটা নিয়ে মুখ খোলা উচিত। যাতে সেই লোকটি আর কারও সাথে একই আচরণ না করতে পারে। এজন্য আমি মি টু মুভমেন্টকে সমর্থন করি। যারা মি টু নিয়ে মুখ খুলেছেন তাদের সাহসের তারিফ না করে পারা যায় না।
বলিউডের তাবড় নায়িকাদের পেছনে ফেলে দিলেন টিভি থেকে উঠে আসা এক তারকা। তাও আবার গ্ল্যামারের নিরিখে, ভাবা যায়?
সালমান খানের সঞ্চালনায় টিভি রিয়েলিটি শো বিগ বসে না জিতেও অনেক বিজয়ীর চেয়ে বেশি নাম করেছেন পাঞ্জাবের মেয়ে শেহনাজ গিল। শুরুতে ছিলেন ফ্যাট তবে এখন একদম ফিট। ব্যক্তিজীবনের নানা চড়াউ উৎরাই পেরিয়ে শেহনাজ এখন বলিউডের আকাশে পাড়ি দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
এরইমধ্যে দেখা দিয়েছেন নিজের মেন্টর সালমান খানের ছবি ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-এ। আর সম্প্রতি ‘ভিকি অওর বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিও’ সিনেমায় আইটেম গান ‘সাত সামান্দার’- এ নেচে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন এই সুন্দরী।
ইীল রঙের স্যাটিন টপ আর ম্যাচিং স্কার্টের সঙ্গে ফিউশন জুয়েলারির লুকে শেহনাজের টোনড ফিগার আর আবেদনময় বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ফুটে উঠেছে দারুণভাবে। সাম্প্রতিক সময়ে তার ইন্সটাগ্রামেও উত্তাপ বেড়েছে অনেকটা। নানা আকর্ষণীয় লুকে দেখা যাছে সামাজিক মাধ্যমে বলিউডের এই পাঞ্জাবি ডিভাকে। বলা যায়, গ্ল্যামারের সূচকে সবার চেয়ে এগিয়ে গিয়েছেন শেহনাজ।
শ্রেয়া ঘোষাল এবং সুনিধি চৌহান শুধু বলিউড নয়, সমগ্র ভারতবর্ষ এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গীতপ্রিয়দের জন্য শ্রদ্ধার দুই নাম। বহু বছর ধরে ভারতীয় সঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করে রেখেছেন এই দুই গুণী শিল্পী। সুনিধি অসাধারণ কণ্ঠ দক্ষতা এবং শ্রেয়া মিষ্টিমধুর আওয়াজের জন্য বেশি পরিচিত। নিজ নিজ অবস্থান থেকে শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পীদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন দু‘জনেই। শুধু তাই নয়, এই দুই সুরের জাদুকর একে অপরের খুব ভালো বন্ধুও বটে!
প্রায় দুই যুগ বা তারও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সুনিধি এবং শ্রেয়া। বহু হিট এবং জনপ্রিয় গান উপহার দিলেও একসঙ্গে কোনো কাজ করা হয়নি এই দুই সঙ্গীত আইকনের। এই নিয়ে শুধু ভক্তদেরই নয়; খোদ সুনিধি এবং শ্রেয়ারও আক্ষেপ ছিল অনেক দিনের। অবশেষে নেটিজেনের বহু বছরের এই আশা পূরণ করলেন ‘সেলিম সুলেয়মান মিউজিক’ প্রোডাকশন।
সম্প্রতি ‘ভূমি ২০২৪’ এর নতুন গান ‘ছ্যায়লা’ প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে কণ্ঠ দিয়েছেন সুনিধি চৌহান এবং শ্রেয়া ঘোষাল। মুক্তি পাওয়ার পর আগুনের মতো ছড়াতে থাকে গানের জনপ্রিয়তা। গানের কথায় দুই জনের মিষ্টি দ্বন্দে তৈরি হয়েছে সুর। ৪ মিনিটের গানটির মাঝামাঝি রয়েছে একটি র্যাপের অংশও। গানের স্থায়ীতে নেচেও ওঠেন সুনিধি-শ্রেয়া। দুই গায়িকাকে মধ্যমণি করে পাশে গানের তালে দুলতে দেখা যায় পরিচালক সেলিম মার্চেন্ট এবং সুলেয়মান মার্চেন্টকেও। গানটি লিখেছেন শ্রদ্ধা পণ্ডিত।
গানটি প্রকাশ করার পরই ভক্তদের ভালোবাসায় ভরে ওঠে কমেন্ট বক্স। ভক্তরা নয় শুধু, সঙ্গীতপ্রেমী বিভিন্ন কন্টেন্ট ক্রিয়েটাররাও ইউটিউবে শিল্পীদের এবং কম্পোজিশনের প্রশংসা করেন। একজন ভক্ত মন্তব্য করেন,‘আমার দুই প্রিয় শিল্পী এক ফ্রেমে! ধন্যবাদ সেলিম সুলেয়মান।’
আরেকজন মন্তব্য করেন,‘আমি স্বপ্ন দেখছি না তো! শ্রেয়া-সুনিধির কণ্ঠ, র্যাপ, মিউজিক – হায় ঈশ্বর! আমি অত্যন্ত খুশি।’
এক ভক্ত মন্তব্য করেন,‘একসময় ছিলেন লতা জি এবং আশা জি। আর এখন শ্রেয়া এবং সুনিধি।’
অন্য আরেকজন মন্তব্য করেন,‘সুনিধির মুখভঙ্গিমা, বডিল্যাঙ্গুয়েজ, নাচ ভিডিওটিকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলেছে। শ্রেয়া আমার মন জিতে নিলো।’
শুধু তাই নয়! গান প্রকাশের পর এক সাক্ষাৎকারে দুই শিল্পীই প্রকাশ করেন, তারা নিজেরাও অনেকদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করার জন্য মরিয়া হয়েছিলেন। তাদের অপেক্ষার পালার সমাপ্ত করার জন্য তারা সেলিম সুলেয়মানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।
নব্বইয়ের দশকেই ভারতীয় অভিনেতারা সিনেমায় কোটি টাকা ওপর পারিশ্রমিক নিতেন। একইসাথে বড় বড় ব্র্যান্ডের সাথেও নাম লেখাতেন। কেউবা আবার ব্যবসাতেও বিনিয়োগ করতেন।
একই রীতি অনুসরণ করছেন বর্তমানের ভারতীয় অভিনেত্রীরাও। সেক্ষেত্রে দীপিকা কিংবা প্রিয়াঙ্কা নয়; ধনী অভিনেত্রীর তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছেন জুহি চাওলা। তবে অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, গত এক দশকে এই ধনকুবেরের কোনো হিট সিনেমা নেই।
হুরুন রিচ লিস্ট ২০২৪-এর তথ্যমতে, বর্তমানে জুহির সম্পদের পরিমাণ ৫৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪৬০০ কোটি রুপি। যা কি-না অন্য যেকোনো ভারতীয় অভিনেত্রীর থেকে বহু বেশি। এমনকি জুহির পরের পাঁচ জন ধনী অভিনেত্রীর সম্পদ একত্র করলেও তা এই অভিনেত্রীর সম্পদের সমান হবে না।
এদিকে সম্পদের দিক থেকে জুহির পরে রয়েছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তার সম্পদের পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন ডলার। আর ৬৫০ কোটি রুপি নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
আর চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন আলিয়া ভাট ও দীপিকা পাড়ুকোন; যারা কি-না অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসায় বিনিয়োগ করছেন।
জুহি চাওলা সিনেমা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করলেও সেটা অভিনয়ের মাধ্যমে নয়। বরং রেড চিলিস গ্রুপে তার বড় বিনিয়োগ রয়েছে; যার মালিকানাধীন রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট বলিউডের অন্যতম প্রযোজনা সংস্থা।
জুহি চাওলা ৯০ দশকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। তবে তার সর্বশেষ হিট সিনেমা 'লাক বাই চান্স'; যা ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত।
একইসাথে আইপিএলের কোলকাতা নাইট রাইডারস থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট টিমের মালিকানায় রয়েছেন জুহি চাওলা। এছাড়াও সম্প্রতি স্বামী জয় মেহতার সাথে তিনি আবাসন ও অন্যান্য ব্যবসায় নাম লিখিয়েছেন।
বলিউডের সর্বোচ্চ ধনীর তালিকায় প্রথমে রয়েছেন সিনেমা প্রযোজক রনি স্ক্রুওয়ালা। এক্ষেত্রে তিনি পেছনে ফেলেছেন শাহরুখ খান, করণ জোহর ও আদিত্য চোপড়ার মতো বড় বড় তারকাকে।
রনি স্ক্রুওয়ালার সম্পদের পরিমাণ ১.৫৫ বিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভূষণ কুমার; যার সম্পদের পরিমাণ বিলিয়নের চেয়ে কম। আর প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন ডলারের মালিকানা নিয়ে পরবর্তী অবস্থানে রয়েছেন শাহরুখ খান ও আদিত্য চোপড়া।
২০১৪ সালে আবার চলচ্চিত্র ব্যবসায় আসেন রনি। নাম হয় 'আরএসভিপি মুভিজ়'। সমালোচকদের প্রশংসাধন্য ছবি 'রাত অকেলি হ্যায়', 'মর্দ কো দার্দ নেহি হোতা'-র মতো ছবির প্রযোজক তারা। ভিকি কৌশল অভিনীত 'উরি: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' তৈরি হয়েছিল এই সংস্থার ব্যানারেই। বিশ্বজুড়ে ৩৫০ কোটি রুপিরও বেশি ব্যবসা করেছিল এই সিনেমা।