অস্কারের কিছু ইতিহাস ও ১০টি আকর্ষণীয় তথ্য

  • বৃষ্টি শেখ খাদিজা, নিউজরুম এডিটর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কাউন্টডাউন শেষ হওয়ার পথে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরেই বসতে যাচ্ছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অস্কার। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় হলিউডের ডলবি থিয়েটারে রবিবার (বাংলাদেশ সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টা) জাঁকজমকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানের ব্যাপ্তি হবে তিন ঘণ্টা। তবে এবার অস্কার মঞ্চে থাকছেন না কোনও উপস্থাপক। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ইতিহাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সঞ্চালকবিহীন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। আগেরবার এমন ঘটনা দেখা গেছে ১৯৮৯ সালে।

১৯২৯ সালে হলিউড বুলভার্ডের হোটেল রুজভেল্টে প্রথম অস্কার অনুষ্ঠান হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ২৭০ জন অতিথি। অনুষ্ঠানটির ব্যাপ্তি ছিলো মাত্র ১৫ মিনিট। প্রথম অস্কার গ্রহণ করেছিলেন জার্মান অভিনেতা এমিল জেনিংস। দুই নির্বাক ছবি ‘দ্য লাস্ট কমান্ড’ (১৯২৮) ও ‘দ্য ওয়ে অব অল ফ্লেশ’ (১৯২৭) তাকে এনে দেয় সেরা অভিনেতার পুরস্কার। এ অনুষ্ঠানের এক মাস আগেই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ফলে কোনও চমকই ছিল না!

বিজ্ঞাপন

এখন অস্কার অনুষ্ঠান দেখতে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে থাকে। অস্কার পুরস্কার গ্রহণ করা যেকোনও পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত সবার জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটি ১৩ ইঞ্চি লম্বা। ৩ দশমিক ৮ কেজি তামার ওপর ২৪ ক্যারেট সোনার স্তর বসিয়ে বানানো হয় এটি।

অস্কার প্রচলনের ভাবনা যার তিনি হলেন হলিউডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মেট্রো-গোল্ডওয়াইন-মেয়ারের (এমজিএম) প্রধান লুইস বি. মেয়ার। অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের প্রথম সভাপতি ছিলেন অভিনেতা ডগলাস ফেয়ারব্যাঙ্কস। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির মূল কার্যালয় নিয়ে যাওয়া হয় বেভারলি হিলসে।

বিজ্ঞাপন

অস্কারের ১০টি আকর্ষণীয় তথ্য
** অস্কার অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণের পর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অনুভূতি জানিয়েছেন অভিনেত্রী গ্রিয়ার গারসন। ১৫তম অস্কারে ছয় মিনিট ধরে কথা বলেছিলেন তিনি।

** দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৩ সালে অস্কার বিজয়ীদের প্লাস্টারে মোড়ানো ট্রফি দেওয়া হয়।

** ১৯৫৩ সালের ১৭ মার্চ প্রথমবার টেলিভিশনে অস্কার অনুষ্ঠান দেখানো হয়।

** অস্কারের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন পেয়েও পুরস্কার না জেতা শিল্পী হলেন সাউন্ড মিক্সার কেভিন ও’কনেল।

** অস্কারজয়ীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমবার অস্কার জেতেন কেট ব্ল্যানচেট। ‘দ্য এভিয়েটর’ (২০০৪) ছবিতে ক্যাথেরিন হেপবার্ন চরিত্রের সুবাদে এই ইতিহাস গড়েন তিনি।

** ২৬ বার অস্কার পুরস্কার ঘরে তুলেছেন ওয়াল্ট ডিজনি। এখন পর‌্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ। তিনি মোট ৬৪ বার মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

** মাত্র ১০ বছর বয়সে সবচেয়ে কনিষ্ঠ অস্কারজয়ী হওয়ার রেকর্ড গড়েন টেটাম ও’নীল। ‘পেপার মুন’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার পান তিনি।

** জেসিকা ট্যান্ডি সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি যিনি ৮১ বছর বয়সে অস্কার জিতেছেন। ‘ড্রাইভিং মিস ডেইজি’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ঘরে তোলেন তিনি।

** অস্কার মঞ্চে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত অনুভূতি জানিয়েছেন অভিনেতা উইলিয়াম হোলডেন ও পরিচালক আলফ্রেড হিচকক। দু’জনে মিলে শুধু বলেছিলেন, ‘থ্যাংক ইউ।’

** ‘অ্যান্ড দ্য উইনার ইজ...’ কথাটির প্রচলন শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। তবে বেশিরভাগ তারকা বিজয়ীর নাম ঘোষণার সময় বলে থাকেন, ‘অ্যান্ড দ্য অস্কার গোজ টু...।’