গ্র্যামিতে নারীদের জয়জয়কার
বিশ্বসংগীতের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের ৬১তম আসরে সর্বাধিক চারটি করে পুরস্কার জিতলেন চাইল্ডিশ গ্যাম্বিনো ও কেসি মাসগ্রেভস। এবারের আসরে নারীদের জয় চোখে পড়ার মতো। যুক্তরাষ্ট্রে লস অ্যাঞ্জেলেসের স্টেপলস সেন্টারে রবিবার (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী সোমবার সকাল) জমকালো আয়োজনে গ্র্যামি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। একফাঁকে মঞ্চে হাজির হন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। তিনি নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে কথা বলেন।
কান্ট্রি গানের সেনসেশন কেসি মাসগ্রেভসের হাতে উঠেছে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার সম্মান। রাজনৈতিক বিদ্রুপাত্মক গান ‘দিস ইজ আমেরিকা’র সুবাদে চাইল্ডিশ গ্যাম্বিনো পেয়েছেন সং অব দ্য ইয়ার ও রেকর্ড অব দ্য ইয়ার। সেরা মিউজিক ভিডিও ও সেরা র্যাপ পারফরম্যান্স বিভাগের পুরস্কারও জিতেছে গানটি।
‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’ ছবির ‘শ্যালো’ গানের সুবাদে সেরা পপ দ্বৈত/দলীয় পারফরম্যান্স পুরস্কার পেয়েছেন ব্র্যাডলি কুপার ও লেডি গাগা। ‘শ্যালো’র জন্য সেরা চলচ্চিত্রের গানের গীতিকার-সুরকার পুরস্কার পেয়েছেন লেডি গাগা, মার্ক রনসন, অ্যান্থনি রোসোম্যান্ডো ও অ্যান্ড্রু ওয়াইয়াট। এছাড়া সেরা পপ সলো পারফরম্যান্স বিভাগে সেরা হয়েছে গাগার ‘জোয়েন’ অ্যালবামের ‘হোয়্যার ডু ইউ থিঙ্ক ইউ আর গোইন?’
সেরা নতুন সংগীতশিল্পীর স্বীকৃতি উঠেছে দুয়া লিপার হাতে। তার গাওয়া ‘ইলেক্ট্রিসিটি’ সেরা ড্যান্স রেকর্ডিং পুরস্কার পেয়েছে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ১৫ বার গ্র্যামি জয়ী মার্কিন গায়িকা অ্যালিসিয়া কিস। প্রয়াত অ্যারেথা ফ্রাঙ্কলিন ও ডায়ান রসকে বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে স্মরণ করা হয়।
৬১তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের বিজয়ী তালিকা
অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার: গোল্ডেন আওয়ার (কেসি মাসগ্রেভস)
রেকর্ড অব দ্য ইয়ার: দিস ইজ আমেরিকা (চাইল্ডিশ গ্যাম্বিনো)
সং অব দ্য ইয়ার: দিস ইজ আমেরিকা (চাইল্ডিশ গ্যাম্বিনো)
সেরা নতুন শিল্পী: দুয়া লিপা
সেরা পপ সলো পারফরম্যান্স: হোয়্যার ডু ইউ থিঙ্ক ইউ আর গোইন? (লেডি গাগা, অ্যালবাম: জোয়েন)
সেরা পপ ভোকাল অ্যালবাম: সুইটেনার (আরিয়ানা গ্র্যান্ড)
সেরা পপ দ্বৈত/দলীয় পারফরম্যান্স: শ্যালো (লেডি গাগা-ব্র্যাডলি কুপার)
সেরা ট্র্যাডিশনাল পপ ভোকাল অ্যালবাম: মাই ওয়ে (উইলি নেলসন)
সেরা র্যাপ অ্যালবাম: ইনভেশন অব প্রাইভেসি (কার্ডি বি)
সেরা র্যাপ পারফরম্যান্স: কিং’স ডেড (কেন্ড্রিক ল্যামার, জেই রক, ফিউচার ও জেমস ব্লেক) ও বাবলিন (অ্যান্ডারসন. পাক)
সেরা র্যাপ/সাং পারফরম্যান্স: দিস ইজ আমেরিকা (চাইল্ডিশ গ্যাম্বিনো)
সেরা র্যাপ সং: গড'স প্ল্যান (ড্রেক)
সেরা কান্ট্রি সলো পারফরম্যান্স: বাটারফ্লাইস (কেসি মাসগ্রেভস)
সেরা কান্ট্রি দ্বৈত/দলীয় পারফরম্যান্স: টেকিলা (ড্যান+শেই)
সেরা কান্ট্রি সং: স্পেস কাউবয় (কেসি মাসগ্রেভস)
সেরা কান্ট্রি অ্যালবাম: গোল্ডেন আওয়ার (কেসি মাসগ্রেভস)
সেরা ড্যান্স রেকর্ডিং: ইলেক্ট্রিসিটি (দুয়া লিপা ও সিল্ক সিটি ফিচারিং ডিপ্লো ও মার্ক রনসন)
সেরা ড্যান্স/ইলেক্ট্রনিক অ্যালবাম: ওম্যান ওয়ার্ল্ডওয়াইড (জাস্টিস)
সেরা মেটাল পারফরম্যান্স: ইলেক্ট্রিক মেসিয়াহ (হাই অন ফায়ার)
সেরা রক পারফরম্যান্স: হোয়েন ব্যাড ডাজ গুড (ক্রিস করনেল)
সেরা রক গান: ম্যাসেডাকশন (সেন্ট ভিনসেন্ট)
সেরা রক অ্যালবাম: ফ্রম দ্য ফায়ার (গ্রেটা ভ্যান ফ্লিট)
সেরা অল্টারনেটিভ মিউজিক অ্যালবাম: কালারস (বেক)
সেরা রিদম অ্যান্ড ব্লুজ পারফরম্যান্স: বেস্ট পার্ট (হার ফিচারিং ড্যানিয়েল সিজার)
সেরা ট্র্যাডিশনাল রিদম অ্যান্ড ব্লুজ পারফরম্যান্স: বেট অ্যাইন্ট ওর্থ দ্য হ্যান্ড (লিয়ন ব্রিজেস) ও হাউ ডিপ ইজ ইউর লাভ (পিজে মর্টন ফিচারিং ইয়েবা)
সেরা রিদম অ্যান্ড ব্লুজ সং: বু’ড আপ (এলা মাই)
সেরা রিদম অ্যান্ড ব্লুজ অ্যালবাম: হার (হার)
সেরা আরবান কন্টেমপোরারি অ্যালবাম: এভরিথিং ইজ লাভ (দ্য কার্টারস)
সেরা ল্যাটিন পপ অ্যালবাম: সিনচেরা (ক্লদিয়া ব্র্যান্ট)
সেরা মিউজিক ভিডিও: দিস ইজ আমেরিকা (চাইল্ডিশ গ্যাম্বিনো)
সেরা চলচ্চিত্রের গানের অ্যালবাম: দ্য গ্রেটেস্ট শোম্যান
সেরা চলচ্চিত্রের গানের গীতিকার-সুরকার: শ্যালো (লেডি গাগা, মার্ক রনসন, অ্যান্থনি রোসোম্যান্ডো ও অ্যান্ড্রু ওয়াইয়া