উন্মুক্ত হচ্ছে স্যাটেলাইট ও সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবসা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বর্তমানে দুটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকা স্যাটেলাইট ও সমুদ্রের তলদেশে দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ সেবার ব্যবসা প্রাইভেট খাতে উন্মুক্ত করে দিতে যাচ্ছে সরকার।

বুধবার (২৫ জুলাই) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় স্যাটেলাইট (উপগ্রহ) ব্যবসার খসড়া নীতিমালা ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে নীতিমালা পাস হবে।

বিজ্ঞাপন

সূত্রমতে খসড়া নীতিমালায় লাইসেন্সের সংখ্যা উন্মুক্ত রাখার পাশাপাশি অন্য সব লাইসেন্সের মতো এর মেয়াদও ১৫ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনায় লাইসেন্সে ফির প্রস্তাব করা হয়েছে ৩ কোটি টাকা। আর বার্ষিক নবায়ন ফি ধরা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা।

নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে ১ শতাংশ হারে রাজস্ব শেয়ার কারার পাশাপাশি ২ কোটি টাকা জামানত রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) ও বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবল ও বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবসা পরিচালনা করছে।

দেশের ৩১টি টেলিভিশন চ্যানেল, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি চট্টগ্রাম, ডিবিসি নিউজ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি, এনটিভি, একাত্তর, বিজয়, সময় ও বৈশাখী টেলিভিশন এই উপগ্রহ ব্যবহার করে তাদের কর্মসূচি সম্প্রচার করছে।

সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে বিএসসিসিএলের দুটি ক্যাবল সংযোগ রয়েছে-এসইএ-এমই-ডব্লিউই ৪ এবং এসইএ-এমই-ডব্লিউই ৫। ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বাড়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আরেকটি সংযোগের প্রস্তুতি চলছে।

দেশে বর্তমানে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার প্রতি সেকেন্ডে ১.২ টেরাবাইট। এর মধ্যে প্রতি মিনিটে ৬৭০ গিগাবাইট আসে বিএসসিসিএল থেকে আর বাকিটা ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

নীতিনির্ধারকদের হিসাব বলছে, ২০২৩ সাল নাগাদ দেশের মোট ব্যান্ডউইথের চাহিদা থাকবে ৬ টিবিপিএস। আর বিএসসিসিএলের বর্তমান সক্ষমতা হচ্ছে তিন টিবিপিএস-এরও কম।

কাজেই তার আগেই ব্যান্ডউইথ উৎপাদনের নতুন উৎস সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক দুটি কোম্পানি সিংটেল ও সিগমারের কাছ থেকে পাওয়া দুটি আলাদা প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছে সিএসসিসিএল। তারা দেশে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করতে চায়।