ফেক নিউজ শেয়ারে মামলা করবে হোয়াটসঅ্যাপ
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কেউ কেউ বেছে নিয়েছেন ফেক নিউজ ছড়ানোর অন্যতম প্লাটফর্ম হিসেবে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য ফেসবুকের আওতাধীন হোয়াটসঅ্যাপ প্রাইভেট মেসেজিং অ্যাপ বেশ জনপ্রিয়।
কিন্তু এখন যোগাযোগের এই মাধ্যমকে বেছে নেওয়া হচ্ছে সহিংসতা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর উদ্দেশে।
হোয়াটসঅ্যাপ এক বিবৃতিতে জানায়, কোনো ব্যবহারকারী যদি প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালা লঙ্ঘন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে কোনো ব্যবহারকারী যদি কারো ক্ষতিসাধন, নিজস্ব স্বার্থ হাসিল এবং সমাজে বিশৃঙ্খলার উদ্দেশে ফেক বা ভুয়া নিউজ শেয়ার করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যা এ বছরের ডিসেম্বরের ৯ তারিখ থেকে কার্যকর করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তাদের প্লাটফর্মে ফেক নিউজের ছড়াছড়ি বন্ধ করতে একযোগে বিভিন্ন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় হোয়াটসঅ্যাপ এবার ফেক নিউজ বন্ধে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিন্তু কিসের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে মামলা হবে, কীভাবে হবে এসব বিষয়ে কিছু জানায়নি হোয়াটসঅ্যাপ। নতুন এই আইন কতটা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায় এখন সেটাই দেখার বিষয়।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ একটি নিয়ম চালু করেছে। তা হলো- কেউ অ্যাকাউন্ট খুললে হোয়াটস্যঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে যে ব্যবহারকারীর দেওয়া তথ্য সঠিক নয়, তাহলে অ্যাকাউন্টটি মুহূর্তেই বাতিল হয়ে যাবে। সেই ব্যক্তি চাইলেও আর অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।
হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য মতে, এরই মধ্যে তারা ২০ লাখেরও বেশি অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছে। এছাড়া একটি মেসেজ পাঁচজনের বেশি কাউকে সেন্ড করা যাবে না, এ রকম পদ্ধতিও চালু করেছে। তাই হোয়াটসঅ্যাপে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে এখন আইন প্রয়োগ করা হবে।
এর আগে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ ফেক নিউজ, অটোমেটেড জেনারেটেড কনটেন্ট বন্ধ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া ভারতের লোকসভা নির্বাচনে (২০১৯) তাদের প্লাটফর্মে ফেক নিউজ বন্ধে ভারতের সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।