এরশাদের কার্যালয়ে শোকাহত নেতাকর্মীদের ভিড়
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিরতের হারিয়ে শোকে বিহ্বল দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের কর্মীদের কারো কাছে তিনি পিতার মতো, কারো চোখে বড় ভাই, কারো চোখে জাতীয় পার্টির ঐক্যের প্রতীক। সেই প্রিয় নেতাকে হারিয়ে আজক শোকাহত নেতাকর্মীরা।
রোবাবার (১৪ জুলাই) সকাল পৌনে আটটায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতূবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে সকাল থেকেই নগরীর তৃণমূলের নেতা কর্মীরা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন।
দুপুর ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নেতাকর্মীরা বনানীর ১২ নম্বর সড়কে অবস্থিত চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে আসছেন। তাদের চোখে মুখে আষাঢ়ের ছাইরাঙ্গা মেঘ যেন ছেয়ে আছে। প্রিয়জন হারানোতে শোকাহত। ক্ষণে ক্ষণে কেউ কেউ ডুকরে কেঁদে উঠছেন। কেউবা হঠাৎ আহাজরি করছেন।
জাতীয় পার্টির পল্লবী থানার সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চুন্নু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আজ আমরা আমাদের প্রিয় নেতাকে হারিয়েছি। তিনি আমাদের দেশের সম্পদ ছিলেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
ভাটারা থানার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, এরশাদ সাহেব ছিলেন দেশের উন্নয়নের রূপকার। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এমন কোন উন্নয়ন নেই যে তিনি করেন নি। দেশবাসী তাকে আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এরশাদের কার্যালয়ের সামনে কয়েকশ নেতা-কর্মী অবস্থান করছেন।
জানাজা ও দাফনের সূচি: আজ রোববার (১৪ জুলাই) বাদ জোহর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা ।
১৫ জুলাই সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ২য় নামাজে জানাজা । বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয়পার্টির কাকরাইল আফিসে নেয়া হবে। বাদ আছর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এ ৪র্থ জানাজা। রাতে সিএমএইচ এর হিমঘরে রাখা হবে।
১৬ জুলাই সকাল ১০টায় হেলিকপ্টার যোগে রংপুরে নেয়া হবে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে/ ঈদগাহ মাঠে বাদ জোহর চতুর্থ জানাজা।
১৬ জুলাই বিকেলে সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।