রাজপথ-রেলপথ বন্ধ করে পাটকল শ্রমিক ধর্মঘট চলছে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজপথ-রেলপথ বন্ধ করে শ্রমিক ধর্মঘট চলছে। ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজপথ-রেলপথ বন্ধ করে শ্রমিক ধর্মঘট চলছে। ছবি: বার্তা২৪.কম

নয় দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছে খুলনাসহ সারাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পাটকলে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ৮টা থেকে রাজপথ-রেলপথ বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। সকালে উত্তেজিত শ্রমিকরা দৌলতপুর নতুন রাস্তা মোড়ে মিছিল করে এবং রাস্তা ও রেলপথে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ডাকে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ধর্মঘট কর্মসূচিতে অংশ নেয় খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, আলিম ও ইস্টার্ন মিলের শ্রমিকরা।

নয় দফা দাবিগুলো হলো- নিয়মিত সাপ্তাহিক মজুরি ও বেতন প্রদান, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পিএফ-গ্রাচ্যুইটি ও মৃত শ্রমিকদের বীমার বকেয়া প্রদান, টার্মিনেশন ও বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, সেটআপ অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, মৌসুমের সময় পাট কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/02/1554184477603.jpg

শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ সহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আমরা শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছি। বর্তমানে শ্রমিকরা না খেয়ে দিন পার করছে। আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। গত মাসে বিজেএমসি প্রতিশ্রুতি দিয়েও দাবি মানেনি। দাবি মেনে নিলেই আমরা সব কর্মসূচি বন্ধ করে দেব।’

উল্লেখ্য, মজুরি কমিশনের ২য় দফার এ কর্মসূচিতে আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিলও টানা পাটকল ধর্মঘট চলবে। এ সময় পাটকলে উৎপাদন বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চারঘণ্টা করে রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ চলবে।

এদিকে শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে আজ খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। এছাড়া খুলনা স্টেশনে ঢুকতে পারেনি কোনো ট্রেনও। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।