কারচুপির অভিযোগের মধ্যেই পাকিস্তানে ভোট গণনা চলছে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কোয়েটায় আইএসের হামলার পর আর হামলা হয়নি। তবে রাজনীতির মাঠে সুবাতাস বইছেনা। নির্বাচনের পূর্ণ ফলাফল রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণার পূর্বেই নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। তবে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীও এ বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি।

লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ প্রধান শেহবাজ শরীফ বলেন, আমাদের দল পুরো ফলকে নাকচ করছে।

বিজ্ঞাপন

অনুমান করা হচ্ছে সেনাবাহিনী সমর্থিত ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।

পাঞ্জাব প্রদেশের তিনবারের মূখ্যমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, আমি আমার পুরো রাজনৈতিক জীবনে এমন নির্বাচন দেখিনি। এটা কোন নির্বাচন না, এটা হচ্ছে বাছাই। বিভিন্ন প্রদেশের ভোটকেন্দ্র থেকে আমাদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে।

/uploads/files/KAMHAnF6r9i4WMRsWZHz5cM0wXCQiU64H89NyBPj.jpeg

আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, এই ধরনের কার্যক্রম গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি গণতন্ত্রের বুকে বড় ধরনের আঘাত বলেন শাহবাজ।

আল জাজিরাকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা মুসাহিদ হোসেন বলেন, বুধবারের নির্বাচন সবচেয়ে নোংরা নির্বাচন, পাকিস্তানের ইতিহাসে।

এমএমএ পার্টির নেতা মাওলানা ফজলুর রহমানের বরাত দিয়ে জিও টিভি জানায় তিনি নির্বাচনকে কারচুপি বলে ফলাফল মানতে অস্বীকার জানিয়েছেন।

এএনপির নেতা মিয়ান ইফতিখার বলেন, এই নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে।

তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে বলে ইমরান খানের অনুসারীরা বলছেন।

বিভিন্ন প্রদেশে তারা বিজয় মিছিলও করেছেন বলে পাকিস্তানী গণমাধ্যমগুলো সংবাদ দিয়েছে।

আর এ কারণেই সহজেই কারুচুপির অভিযোগের সুযোগ পাচ্ছে অন্যান্য দলগুলো।

তবে নির্বাচনে কারচুপি বা প্রকৌশলী বিষয়ে অস্বীকার করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন।

পাক নির্বাচন কমিশনের সেক্রেটারি বাবর ইয়াকুব বলেন, কোন ষড়যন্ত্র নেই, কোন চাপ নেই ফলাফল বিলম্ব হওয়ায়। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটু দেরি হচ্ছে।

নির্বাচনে মোট ২৭২ টি আসনের জন্য লড়াই চলছে। এর মধ্যে ৬০ টি নারীদের জন্য সংরক্ষিত ও ১০ টি সংখ্যালঘুদের জন্য। মোট ১০৬ মিলিয়ন নিবন্ধিত ভোটার।

৩০ টির অধিক রাজনৈতিক দলের ১২ হাজার ৫৭০ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে নেমেছে।

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক দলের ১৩৭টি আসন পেতে হবে।