বুয়া-বাবুয়ার ‘ফারজি দস্তি’ ২৩ মে শেষ হবে: মোদি

  • খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের উত্তর প্রদেশে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ভারতের উত্তর প্রদেশে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ভারতের লক্ষ্ণৌ থেকে: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর প্রদেশে এক জনসভায় বলেছেন, ‘২৩ মে  নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরই সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির ভুয়া বন্ধুত্ব তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে, বুয়া ও বাবুয়া ‘ফারজি দস্তি’ (নকল বন্ধুত্ব) শেষ হবে।’

বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী (বুয়া) ও সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবের (বাবুয়া) উদ্দেশ্যে এ বক্তব্য রাখেন মোদি।

বিজ্ঞাপন

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ৭০টিতে জিতেছিল।

কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির মধ্যে ২০১৭ সালে বোঝাপড়া প্রসঙ্গে উল্লেখ করে মোদি বলেন, 'উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বন্ধুত্ব ঘটেছিল, ফলাফল ঘোষণার পর পরই তাদের মধ্যেই তা ঝগড়াতে পরিণত হয়।’

তিনি বলেন, ‘এবারও এই বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৩ মে, বৃহস্পতিবার, এই 'ফারজি দস্তি' (জাল বন্ধুত্ব) আলাদা হয়ে পড়বে। ঐদিন 'বুয়া' ও 'বাবুয়া' তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেবে।’

উত্তর প্রদেশের বিরোধী জোটকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ‘তাদের স্বার্থপর চিন্তাভাবনা সমাজের বঞ্চিত অংশের কল্যাণ সম্পর্কে কখনোই চিন্তা করতে পারে না। দরিদ্রদের নামে রাজনীতি করে তারা কেবল নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স বৃদ্ধি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র এসপি ও বিএসপির পতাকা আলাদা, তাদের উদ্দেশ্য একই। মায়াবতীর দুর্নীতি ছিল প্রধান কাজ এবং বাবুয়ারা দলিতের ওপর অত্যাচার করেছে। এখন তারা কতক্ষণ নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ধরে রাখবে সেটাই দেখার বিষয়।’

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছেন, কংগ্রেস ও এসপি-বিএসপি-আরএলডি জোট রাজ্যের সর্বোপরি সাধারণ নির্বাচনের প্রথম দুই পর্যায়ে কোনো আসন পাবে না।

কৈলা দেবীতে একটি নির্বাচন সভায় বক্তব্য রাখেন আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, ‘১৮ এপ্রিল উত্তর প্রদেশে ১৬ আসনে ভোটের প্রথম দুটি পর্যায়ে বিজেপি সর্বাধিক ভোট পেয়েছে এবং কংগ্রেস ও এসপি-বিএসপি হ্রাস পেয়েছে শূন্য আসনে।’

এদিকে বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের যে অবস্থা হয়েছিল, এবার বিজেপির সেই অবস্থা হবে।’

আর আখিলেস যাদব বলছেন, ‘পরিবর্তন অবশ্যই আসবে। বিজেপি গণতন্ত্র, বৈচিত্র্য ও মানুষের আন্দোলনের জন্য তৈরি নয়। বিজেপি চায় নতুন ভারত সৃষ্টি করতে। কিন্তু আমাদের জোট নতুন প্রধানমন্ত্রী আনবে।’