তীব্র আন্দোলনের বাধা উপেক্ষা করে তৃতীয় ঋতুমতী নারী হিসেবে কেরালার শবরিমালা মন্দিরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে প্রার্থনা করেন। এদিকে পবিত্র এই মন্দিরে নারীদের প্রবেশ না করার বিষয়ে পূর্বের নিয়ম বহাল রাখার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে দেশটির সাম্প্রদায়িক উগ্রপন্থীরা।
তাদের দাবি, প্রাচীন মতেই নারীরা এই মন্দিরে প্রবেশ করার নিয়ম নেই। অতএব সর্বোচ্চ আদালত যেন এর পক্ষেই রায় দেয়।
শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) পুলিশের সুরক্ষায় এই নারী মন্দিরে প্রবেশ করে। এর আগে বুধবার (২ জানুয়ারি) দুজন নারী মন্দিরে প্রবেশ করলে কেরালার উগ্রপন্থী হিন্দু সম্প্রদায় ফুঁসে ওঠে। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে। এতে মন্দিরে প্রবেশে অন্দোলনরতদের সাথে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।
এখন পর্যন্ত ১৩৬৯ জনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এছাড়া ৮০১টি মামলা করা হয়েছে। ২৭৫ জন আহত ও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কেরালার শবরিমালা মন্দিরে ১০-৫০ বছর বয়সী ঋতুমতী নারীদের কখনো এই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। গত বছরের শেষের দিকে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এই মন্দিরে নারীদের প্রবেশের সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। কিন্তু এরপরেও নারীরা এখানে প্রবেশে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিল।
এজন্য তারা মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন করে। এতে প্রায় তিন লাখ মানুষ অংশ নেয়। এরপর দেশটির পুলিশের সহায়তায় দুইজন নারী মন্দিরে প্রবেশ করলেই দেশটির উগ্রবাদী হিন্দু সম্প্রদায় তীব্র আন্দোলন দেশটির প্রধান প্রধান কিছু সড়ক ও স্থান অচল করে দেয়। এতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীও কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
তবে মাত্র কয়েক মাস পরেই দেশটিতে লোকসভা নির্বাচন আর এই নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন সরকার বেশ চাপে রয়েছে।