চীনে নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু ‘হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও ব্রিজ’ উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দীর্ঘ ৯ বছর নির্মাণ কাজ শেষে সেতুটির চালু করা হয়।
বিবিসি খবরে বলা হয়েছে, এখন থেকে সেতুটি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। ৫৫ কিমি. বা ৩৪ মাইল দীর্ঘ এই সেতু চীনের দক্ষিণে হংকং, ঝুহাই ও ম্যাকাওয়ের সঙ্গে এর মূল ভূমির সংযোগ স্থাপন করবে। এই সেতু দিয়ে সমুদ্র পার হয়ে হংকংয়ের ম্যাকাও ও ঝুহাইয়ের যাত্রী ও যানবাহন সরাসরি এক অঞ্চল থেকে আরেকটিতে যাওয়া আসা করতে পারবে।
পার্ল নদীর উপর সর্পিল আকৃতির সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে চীন সরকার। সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০০৯ সালে। আজ উদ্বোধন করা হলেও বুধবার (২৪ অক্টোবর) থেকে সেতুটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
সেতুটির প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সেতুটি নির্মাণের সময় কমপক্ষে ১৮ জন শ্রমিকের মারা গেছেন।
সেতুটির বিশেষত্ব
সেতুটি নির্মাণের ফলে দক্ষিণ চীন উপকূলের সঙ্গে হংকং, ম্যাকাও এবং ঝুহাইকে সংযুক্ত করবে। সেতুটির নির্মাণ করতে ৪ লাখ টন স্টিল ব্যবহৃত হয়েছে তা দিয়ে অন্তত ৬০টি আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা যাবে।
সেতুর ব্যবস্থাপনার পরিচালক জহু ইয়ংগ্লিং বলেন, এটি তৈরিতে ৪ লাখ ২০ হাজার ২০০ টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে, যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার বানানো সম্ভব। সেতু ও আন্ডারওয়াটার টানেল এবং এর মধ্য দিয়ে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের জন্য রয়েছে একটি সুড়ঙ্গ পথও। সংযুক্ত হচ্ছে হংকংয়ের লানতাউ দ্বীপ।
৩০ কিলোমিটার পার্ল নদী পাড়ি দিয়ে হংকং থেকে ঝুহাই যেতে যেখানে যেখানে ৪ ঘণ্টা সময় লাগত সেখানে ‘হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও ব্রিজে ৩০ মিনিট সময় লাগবে।
কারা ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারবেন?
‘হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও ব্রিজ’টি পার হতে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। যানবাহন চলাচলে টোল পদ্ধতিতে ফি পরিশোধ করতে হবে।সেতুটি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চলাচল করবে না, প্রাইভেট শাটল বাস চলাচল করতে পারবে। এতে রেল সংযোগ নেই।
কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন ৯ হাজার ২০০ যানবাহন চলাচলের অনুমতি প্রদান করবে।