আবারও ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে ডিএসইর সূচক

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটির পর দিন বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৭৬ পয়েন্ট।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২৩৫ পয়েন্ট। এর ফলে আবারও ডিএসইর সূচক পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে অবস্থান করছে। যা প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।

বিজ্ঞাপন

ডিএসইর তথ্য মতে, দিনভর সূচক পতন শেষে বুধবার ডিএসইএক্স ৭৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৯৩৩ পয়েন্টে। যা দুই বছর আট মাস ২০ দিন বা ৬৬৭ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর ডিএসইএক্স সূচক ছিল চার হাজার ৯২৪ পয়েন্ট।

প্রধান সূচকের পাশাপাশি অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৫৫ ও ১৭৩৬ পয়েন্টে।

অপর দিকে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বুধবার ২৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৯৩ পয়েন্টে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি করপোরেশনের উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং বকেয়া পাওনা আদায়ে শুরু হওয়া বিটিআরসি ও গ্রামীণফোনের প্রকাশ্য দ্বন্দ্বসহ বেশ কিছু ইস্যুর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে।

আর তাতে পুঁজিবাজারের কী হবে? কোন দিকে যাবে পুঁজিবাজার? এসব নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে।

প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা হাতগুটিয়ে বসে আছেন। বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজার ছাড়ছেন। এ অবস্থা দেখে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও হতাশ হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে দরপতন হচ্ছে বলে মনে করেন ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী।

বড় এ দরপতনের দিন ডিএসইতে ৫০২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনা বেচা হয়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ২৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দাম।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির দাম। তার তাতে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।