আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের জিপিএইচ ইস্পাতের প্লান্ট পরিদর্শন

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জিপিএইচ ইস্পাতের নতুন প্লান্ট পরিদর্শন সংযুক্ত  আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সাইয়েদ মোহাম্মদ আল মেহরি

জিপিএইচ ইস্পাতের নতুন প্লান্ট পরিদর্শন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সাইয়েদ মোহাম্মদ আল মেহরি

‘পেশাগত দক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তির সম্মিলন বাংলাদেশে তথা এশিয়ার ইস্পাত খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রাইভেট সেক্টরের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে।’

শুক্রবার (২ আগস্ট)  সীতাকুণ্ডের কুমিরায় অবস্থিত জিপিএইচ ইস্পাতের নতুন প্লান্ট পরিদর্শনকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত সাইয়েদ মোহাম্মদ আল মেহরি এ এসব বলেন। তিনি উভয় দেশের সরকারের দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক ও বেসরকারিখাতে বাণিজ্যের সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে জিপিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জিপিএইচ ইস্পাত বিশ্বে প্রথম কোম্পানি যার কারখানায় একই ছাদের নিচে ইলেক্ট্রিক আর্ক ফার্নেস কোয়ান্টাম ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। এতে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে অত্যাধুনিক এ কারখানার। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে কারখানাটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাবে।’

জিপিএইচ ইস্পাতের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব ও সেফটিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন, ‘এই প্লান্ট চালু হলে ২২৬ কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব প্রদান করা হবে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।’

পূর্বাহ্নে রাষ্ট্রদূত ও তার সফরসঙ্গী বাংলাদেশস্থ ব্রান্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল মোস্তফাকে নতুন প্রজেক্টের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে মালটিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন দেন হেড অব প্রজেক্ট ড. এ এস এম সুমন।

এ সময় অ্যাডভাইজর ইঞ্জিনিয়ার মোশতাক আহমদ, আমিরুল ইসলাম, এম এন দস্তুর এন্ড কোম্পানির প্রীতম চ্যাটার্জি, টেকনিকেল অডিটর অনিন্দ্য কে ব্যানার্জি উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত প্লান্ট এলাকায় পৌঁছলে জিপিএইচ পরিবারের সদস্য সুবেহ সোহা ও সাফওয়ান সাজিদ রোয়াহেম ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। রাষ্ট্রদূত ও তার সফরসঙ্গী নতুন প্লান্টের রোলিং-মিল, এডমিন বিল্ডিং, মেইন রিসিভিং সাবস্টেশন, এয়ার সেপারেশন ইউনিট, স্টোর এন্ড ইনভেন্ট্রি, সিসিএম ইউনিটগুলো সরেজমিন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেন।