মোবাইল অপারেটরদের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অর্থ গ্রহণে বিটিআরসির অস্বীকৃতি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মূসক (ভ্যাট) নিবন্ধন না থাকায় দেশের মোবাইল অপারেটরগুলোর বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল – জুন ২০১৯) অর্থ গ্রহণ করেনি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।

বুধবার (১০ জুলাই) বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের বিভিন্ন পাওনা যেমন- রাজস্বের অংশ, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল ও বাৎসরিক তরঙ্গ ফি, ইত্যাদির অর্থ মূসকের অংশ বাদ দিয়ে জমা দিতে গিয়েছিল মোবাইল অপারেটর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিটিআরসি সেই অর্থ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন, মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন এমটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, 'গত ১ জুলাই থেকে কার্যকর বর্তমান মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন (মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২) অনুযায়ী অর্থ আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের মূসক নিবন্ধন থাকার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আছে।' বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমটব এ তথ্য জানায় l

এ আইনের ৪৯ (২) ধারায় বলা হয়েছে, 'সরবরাহকারী নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত না হইলে এবং সমন্বিত কর চালানপত্র এবং উৎসে কর কর্তন সনদপত্র জারি না করলে, উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা সরবরাহকারীর নিকট হইতে কোনো সরবরাহ গ্রহণ করিবে না এবং সরবরাহকারীকে উক্ত সরবরাহের বিপরীতে কোন মূল্য পরিশোধ করিবে না।'

এস এম ফরহাদ বলেন, 'বিটিআরসি এখন পর্যন্ত মূসক বা ভ্যাট নিবন্ধন না করায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে দেশের ১৬ কোটিরও বেশি মোবাইল গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে মোবাইল অপারেটররা তাদের গত প্রান্তিকের অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় যা বিটিআরসি গ্রহণে অসম্মতি জানায়।'

এমটব এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বিটিআরসি উভয়ের নিকট ভ্যাট আইন অনুযায়ী কীভাবে অর্থ পরিশোধ করা যাবে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়েও আজ পর্যন্ত কোনো জবাব পায়নি বলে জানান মহাসচিব।