বন্ড অপব্যবহারকারীর মুখোশ উন্মোচন করুন: এনবিআর চেয়ারম্যান

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইআরএফ কার্যালয়ে ‘ইমপ্রুভড ট্রেড অ্যান্ড বন্ডেড ওয়্যারহাউস পলিসিজ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তব্য দেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ছবি:বার্তা২৪.কম

ইআরএফ কার্যালয়ে ‘ইমপ্রুভড ট্রেড অ্যান্ড বন্ডেড ওয়্যারহাউস পলিসিজ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তব্য দেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ছবি:বার্তা২৪.কম

দেশীয় শিল্পকে রক্ষায় বন্ড সুবিধার অপব্যবহারকারীর মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

বোরবার (৫ মে) রাজধানী পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘ইমপ্রুভড ট্রেড অ্যান্ড বন্ডেড ওয়্যারহাউস পলিসিজ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল এবং চামড়া খাতের বিকাশের জন্য বন্ড সুবিধা দিচ্ছে সরকার। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বন্ডেড ওয়্যারহাউজের সুবিধা নিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করছে। এনবিআরের ব্যবসায়ীদের বিরেুদ্ধে বন্ডের অপব্যবহার রোধে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘খোলা বাজারে বন্ডের পণ্য বিক্রি হওয়ায় কাপড়, সূতা, কালি এবং কাগজশিল্পের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সরকারও এ খাত থেকে রাজস্ব হারাচ্ছে। বন্ডের অবহ্যবহার রোধে আমাদের ঢাকা ও চট্টগ্রাম কাস্টম অফিস কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গত দেড় মাসে অন্তত ৬০টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স জব্দ করেছে। এগুলোর সব কয়টির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ঢাকায় ১৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আরও ১৭টি বাতিলের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। চট্টগ্রামেও ২৯টির বাতিলের প্রক্রিয়া রয়েছে। 

বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে অটোমেশন চালু করা হচ্ছে এবং আইনের সংশোধনসহ সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমি আপনাদের আহ্বান করছি। বন্ড অপব্যবহারকারীদের মুখোশ উন্মোচন করুন। জাতির কাছে তাদের চেহারা তুলে ধরুন। সামাজিকভাবে তাদেরকে মর্যাদা হেয় করুন, দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করুন।

ইআরএফ ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিককের জন্য যৌথভাবে এই দিনব্যাপী কর্মশলার আয়েজন করে। ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সহসভাপতি সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার বক্তব্য রাখেন।