প্লেসমেন্ট বাণিজ্য বন্ধের আশ্বাস বিএসইসির

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বহুল আলোচিত অনৈতিক প্লেসমেন্ট বাণিজ্য বন্ধের আশ্বাস দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে নগদ লভ্যাংশ প্রদানে যা যা করণীয় তা করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন।

রোববার (২৮এপ্রিল) বিএসইসির কার্যালয়ে ডিএসই ব্রোকারর্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও শীর্ষ ২০ ব্রোকারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে বাজারের স্বার্থে এসব আশ্বাস দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়াও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের(আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পরপর বোনাস লভ্যাংশ দিতে হলে বিএসইসির অনুমোদন নিতে হবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

ডিবিএ এবং শীর্ষ ব্রোকারদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এসব আশ্বাস দিয়েছে অধ্যাপক খায়রুল হোসেন। এই উদ্যোগটি কমিশন তখন নিলো যখন টানা  তিন মাস দরপতনে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। বিএসইসির চেয়ারম্যান বলছেন, আপনারা বাজারের উন্নয়নে যা বলে, তাই আমরা করে দেবো। বাজারকে সাপোর্ট দেন।

এ বিষয়ে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বার্তা২৪.কমকে বলেন, কমিশনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা প্লেসমেন্ট বাণিজ্য বন্ধ, আইপিওর মাধ্যমে নতুন নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ বাজার থেকে হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়ার কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, প্লেসমেন্ট বাণিজ্য বন্ধের সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। আইপিওর পদ্ধতি সংস্কার করবেন।

নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর পরই যাতে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ না দেয়। সেজন্য বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার যৌক্তিক কারণ দিয়ে কমিশনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে এমন নির্দেশনা দেওয়া হবে।

সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে অচেতনভাবে পড়ে থাকা মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরকে সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে। কমিশন বছর শেষে যাতে বোনাস ইউনিট লভ্যাংশ না দিয়ে নগদ লভ্যাংশ দেয় তার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করবে।

বৈঠক সূত্রে  জানা গেছে, এছাড়াও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর রি-ইনভেস্টমেন্ট ইউনিট (আরআইইউ) বন্ধ করা, বন্ডের বাজার চালু করা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে সহজে বন্ড ইস্যুর সুযোগ দেওয়া, ব্রোকার হাউজগুলোর প্রধান কার্যালয়ের সম্প্রসারিত অফিস স্থাপনের সর্বোচ্চ দূরত্ব বাড়ানো, প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়ে বিএসইসির একটি কার্যকর নিয়ম তৈরি করা, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ২০ শতাংশের বেশি প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন না দেওয়া, স্ক্রিপ নেটিং, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ গণনার ক্ষেত্রে বন্ড, ডিবেঞ্চার ও কৌশলগত বিনিয়োগকে বাইরে রাখা ইত্যাদি সুপারিশ করেন।

এর প্রেক্ষিতে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্টেইকহোল্ডারদের পরামর্শ অনুযায়ী বাজারের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। তিনি বলেন, আমরা প্লেসমেন্ট বন্ধে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছি। খুব শিগগির এর প্রতিফলন দেখতে পাবেন।