১৭৩ টি কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন অ্যালায়েন্সের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি (“অ্যালায়েন্স”)-ছবি: সংগৃহীত

অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি (“অ্যালায়েন্স”)-ছবি: সংগৃহীত

রানা প্লাজা ধ্বসের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৭৩টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি (অ্যালায়েন্স)। সর্বশেষ গত আগস্ট মাসে পাঁচটি কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে পোশাক শিল্পের ক্রেতাদের সংগঠন অ্যালায়েন্স।

সম্প্রতি আলায়েন্সের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। অ্যালায়ান্সের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্ট মাসে পাঁচটি কারখানার সঙ্গে অ্যালায়েন্স ব্যবসায়িক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে, ফলে এ যাবত পর্যন্ত ব্যবসায়িক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়া মোট কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৩ টি। গত মার্চ মাস থেকে এই প্রথম অ্যালায়েন্স সংস্কার কাজে অগ্রগতি প্রদর্শনে ব্যর্থ হওয়ার কারনে কোনো কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করলো । জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত আরও ৩৬টি অ্যালায়েন্স-অধিভুক্ত কারখানা তাদের সংশোধনী কর্ম পরিকল্পনায় (ক্যাপ) উল্লেখিত সমস্ত মেরামত কাজ সম্পন্ন করেছে, যার ফলে সংস্কার কাজ সম্পন্নকারী কারখানার মোট সংখ্যা দাঁড়ালো চারশটি। এ পর্যন্ত অ্যালায়েন্স-অধিভুক্ত সবগুলো কারখানায় ৯১ শতাংশ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে ।

বিজ্ঞাপন

অ্যালায়েন্স এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাষ্ট্রদূত জিম মরিয়ার্টি বলেছেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে অ্যালায়েন্স -অধিভুক্ত কারখানাগুলোতে সংস্কার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।  আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এ বছরের শেষে অ্যালায়েন্সের রূপান্তরকালীণ সময়ে আমাদের সদস্য কোম্পানিরগুলোর জন্য পণ্য উৎপাদনকারী অধিকাংশ কারখানাই একটি চমৎকার কাঠামো লাভ করবে এবং আমাদের কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুসারে কারখানাগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।এমনকি অ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষেও সদস্য কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের যে সমস্ত কারখানাগুলো থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকে সে সমস্ত কারখানাগুলোর  পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে, এটা যাচাই করতে যে ওই সমস্ত কারখানাগুলো যেন নিরাপত্তা বজায় রেখে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারে ।”

অ্যালায়েন্স চিফ সেইফটি অফিসার পউল রিগবি বলেন,  যেসব কারখানাগুলো বর্তমানে নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক মানদন্ড অর্জন করেছে তা প্রত্যেকের জন্য গর্বের বিষয় । এখানে মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষেরই অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে।