পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় হারে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্ব শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। ফাইনালের সম্ভাবনা ভালোভাবে টিকিয়ে রাখতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে তাই জয় ছিল অনিবার্য। তবে ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের সঙ্গে লড়াইটা ঠিক জমল না। আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতার খেসারত দিয়ে হারতে হল টাইগারদের। সুপার ফোরে টানা দুই হারের পরও কাগজে-কলমে শেষ হয়ে যায়নি বাংলাদেশের সম্ভাবনা। তবু এখান থেকে ফাইনালের স্বপ্ন দেখাটা হয়ত একটু বাড়াবাড়িই হবে!
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ২১ রানে হারিয়ে দিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এর মধ্য দিয়ে টানা ১৩ ওয়ানডে জয়ের কীর্তি গড়েছে দাসুন শানাকার দল। অস্ট্রেলিয়ার পর টানা ওয়ানডে জয়ের দিক দিয়ে এখন এককভাবে দ্বিতীয় স্থানটি লঙ্কানদের।
প্রেমাদাসায় টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। বোলাররা লঙ্কানদের ২৫৭ রানে আটকে দিয়ে তাদের কাজটা ঠিকঠাক সেরেছিলেন। তবে এই টার্গেটেও ব্যাটাররা খাবি খেলেন। এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা এবং সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতেও ব্যাটারদের পারফরম্যান্স হতাশার জন্ম দেয়। মাঝে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটাররা তাদের সেরাটা দিয়েছিলেন, সে ম্যাচে ফলও পক্ষে এসেছিল।
শ্রীলঙ্কাকে ২৫৭ রানে আটকে দেয়ার পর বাংলাদেশের শুরুটা মন্দ হয়নি। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান তোলে বাংলাদেশ। পরের দশ ওভারে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। এই সময়ে ৩৭ রান তুলতেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেটে তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৭২ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। তবে ব্যক্তিগত ২৯ রানে তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে মুশফিক উইকেট বিলিয়ে দিলে আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
হৃদয় তবু লড়াই চালিয় যান, তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। তবে সঙ্গীর অভাবে একসময় তার প্রতিরোধও ভেঙে পড়ে। ৯৭ বলে ৭ চার এবং ১ ছয়ে ৮২ রানে থামে হৃদয়ের ইনিংস। শেষ উইকেটে নাসুম আহমেদ এবং হাসান মাহমুদের ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিও জুটিতে আশার পারদ চড়লেও শেষতক তাতে শুধু হারের ব্যবধানই কমেছে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর একই মাঠে ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে সাকিব আল হাসানের দল।