শুরুতে উইকেট মেলেনি ঠিক, তবে বোলিংয়ে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের, চাপে রেখেছিল শ্রীলঙ্কাকে। সে চাপটা অন্তত ৪৭ ওভার পর্যন্ত ধরে রেখেছিল দল। তবে লঙ্কানরা তা সামলেছে ভালোভাবেই। গড়েছে ২৫৭ রানের পুঁজি। বাঁচা মরার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে হলে বাংলাদেশকে এখন করতে হবে ২৫৮ রান।
প্রথম উইকেটের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত। হাসান মাহমুদ ফেরান দিমুথ করুনারত্নেকে। এরপরই পাথুম নিশাঙ্কা আর কুশল মেন্ডিস মিলে জুটি গড়ে লঙ্কানদের রানের চাকা সচল রাখেন। তাদের ৭৪ রানের জুটি বাংলাদেশকে একটা সময় চোখরাঙানিই দিচ্ছিল বেশ।
তবে সেটা আরও বড় হয়ে উঠতে দেননি শরীফুল ইসলাম। প্রথমে নিশাঙ্কা এরপর ফেরান মেন্ডিসকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াচ্ছিল লঙ্কানরা। চারিথ আসালঙ্কা কিংবা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাদের কেউই থিতু হতে পারেননি উইকেটে, তাদের সাজঘরের পথ দেখান যথাক্রমে তাসকিন আর হাসান।
১৬৫ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে শ্রীলঙ্কা তখন ছিল গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়। সে শঙ্কা থেকে তাদের মুক্ত করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা আর অধিনায়ক দাসুন শানাকা। দুজনের ৬০ রানের জুটিতে লড়াকু পুঁজির কাছে চলে যায় লঙ্কানরা। হাসানের শিকার হয়ে শানাকা ফিরলেও সামারাবিক্রমা তার লড়াইটা লড়ে যান একাই।
ওপাশে সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখেছেন ইনিংসের শুরুতে, শেষেও তাই। তবে ইনিংসের শেষ বলে বিদায়ের আগে তিনি করেন ৭২ বলে ৯৩ রান, যা তার ক্যারিয়ারসেরাও। তার ইনিংসে ভর করেই শ্রীলঙ্কা পেয়ে যায় ২৫৭ রানের পুঁজি। বাংলাদেশের হয়ে হাসান ৩টি, তাসকিন আর শরীফুল শিকার করেন ২টি করে উইকেট।