এমন বাংলাদেশকে শেষ কবে দেখেছেন, মনে পড়ে? যে তৌহিদ, সাকিব কয়েকদিন আগেই এলপিএল থেকে ফিরেছেন দুর্দান্ত ফর্ম নিয়ে তারাও আজকে নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারেনি। এশিয়া কাপকেই বিশ্বকাপের আগে একপ্রকার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ধরা হয়েছে। সেখানে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। যদিও টাইগার কাপ্তান বলেছেন, এশিয়া কাপে ভালো করলেও যে বিশ্বকাপে ভালো করতে পারব আবার এখানে খারাপ করলেও যে বিশ্বকাপে খারাপ হবে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা কম।
অথচ সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে এশিয়া কাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবেই খেলতে নেমেছিল টাইগাররা। ২০১৭ সালের মার্চ থেকে যদি হিসাব করা হয়, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা মোট ১৩টি ওয়ানডে খেলেছে। ফলাফল না হওয়া একটি ম্যাচ বাদ দিলে বাকি ম্যাচগুলোতে উত্তেজনা ছিল চোখে পড়ার মতো। যেখানে ৫টি জিতেছে বাংলাদেশ, ৭টি জিতেছে লংঙ্কানরা। এই মঞ্চে শ্রীলংকা স্বপ্নের ট্রফি ছুঁয়ে দেখেছে ৬ বার অন্যদিকে বাংলাদেশ তিনবার হয়েছে রার্নাস আপ।
এদিন বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয় তানজিদ হাসান তামিমের। তবে তিনি এ অভিষেকটা নিঃসন্দেহে ভুলে যেতে চাইবেন। ব্যক্তিগত ০ রান করেই থামে তার ব্যাট। লড়াই যা করার , শান্তই করেছেন। পাল্লেকেল্লেতে আর কারোর ব্যাট জবাব দিতে পারেনি লংকান বোলারদের। দলীয় ১৬৪ রানের মধ্যে এই ব্যাটারেরই ৮৯। ৩৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে নাজমুলের জুটিতে উঠেছিলো ৫৯ রান। কিন্তু এরপর আর কোনো বড় জুটি হয়নি। সাকিব, মুশফিক, নাঈম শেখ, মিরাজ ও শেখ মেহেদিরা ছিলেন আশা যাওয়ার মিছিলে। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে শান্ত আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ ও আর বেশিক্ষণ টিকেনি। অথচ এই ম্যাচের আগে চোটের কারণে লংকান বোলার লাইন আপ অনেকটাই দুর্বল ছিল, সেই আলোচনাই হচ্ছিল। শ্রীলংকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছে মাথেশা পাথিরানা।
এদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দেখেই সাকিব বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ব্যাটসম্যানরা আশানুরূপ করতে না পারায় এখন যা করার বোলারদেরই করতে হবে। বাংলাদেশী ক্রিকেট ভক্তদের এখন একটাই চাওয়া টসের মতো ম্যাচটাও যেনো বাংলাদেশের পক্ষে যায়।