মারা যাননি হিথ স্ট্রিক। তিনি বেঁচে আছেন। তিনি হোয়াট্সঅ্যাপে কথাও বলছেন। এরকমই দাবি করেছেন তার সতীর্থ হেনরি ওলোঙ্গা। অথচ তিনিই বুধবার (২৩ আগস্ট) সকালে দীর্ঘ বার্তা পোস্ট করে স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার বক্তব্য বদলে গেছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, পুরনো টুইটটিও তিনি মুছে দিয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওলোঙ্গা একটি কথোপকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন টুইটারে। সেটি স্ট্রিকের সঙ্গে তার কথোপকথন বলে দাবি তার। কথোপকথনের স্ক্রিনশটের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে জানাতে চাই যে, হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। আমি নিজেই ওর মুখ থেকে শুনেছি যে, ও এখনও জীবিত। তৃতীয় আম্পায়ার আবার ওকে ফিরিয়ে এনেছে। ও বেঁচে আছে।’
প্রসঙ্গত, স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই জানানো হয়নি। দেশটির সরকারের কোনও মুখপাত্রও স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেননি। কিন্তু, বিভিন্ন সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের মাধ্যমে ওই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। স্ট্রিকের শারীরিক অবস্থা কেমন সে সম্পর্কেও এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
১৯৯৩ সালে ১০ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অভিষেক হয় স্ট্রিকের। দেশের হয়ে ১৮৯টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৬৫টি টেস্ট খেলেছেন তিনি।
টেস্টে ১৯৯০ রান এবং ২১৬টি উইকেট রয়েছে তার। সাদা বলের ক্রিকেটে ২৯৪৩ রান এবং ২৩৯টি উইকেট রয়েছে। ২০০৫-এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি। দেশকে ২১টি টেস্ট এবং ৬৮টি এক দিনের ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০২১ সালে তাকে আট বছরের জন্যে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। কারণ, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। ৪৯ বছরের ক্রিকেটার পরে ক্ষমা চান এবং জানান ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে কোনওদিনই তিনি যুক্ত ছিলেন না।
বরাবরই পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে স্বর্ণযুগ ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সেই দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এই স্ট্রিক। তিনিই জিম্বাবুয়ের একমাত্র বোলার, টেস্টে যার শতাধিক উইকেট রয়েছে। একদিনের ক্রিকেটে তিনি জিম্বাবুয়ের চতুর্থ ক্রিকেটার যার এই কীর্তি রয়েছে।
জিম্বাবোয়ের একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে এক হাজার রান ও ১০০ উইকেট এবং একদিনের ক্রিকেটে দুই হাজার রান ও ২০০ উইকেট রয়েছে স্ট্রিকের। হিথ স্ট্রিক বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসাবেও দায়িক্ব পালন করেছেন।