কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া। গ্রুপ পর্যায়ের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে দুই দলের হয়েছিল বিপরীত অভিজ্ঞতা। ব্রাজিল যেখানে ক্যামেরুনের বিপক্ষে হেরেছে, সেখানে দক্ষিণ কোরিয়া পর্তুগালকে হারিয়ে পেয়েছে নকআউট পর্বের টিকিট।
ক্যামেরুনের বিপক্ষে হারের ম্যাচে ব্রাজিলের মূল একাদশ নামাননি কোচ তিতে। ম্যাচ জুড়ে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখলেও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলের দেখা মেলেনি।
নেইমার, অ্যালেক্স সান্দ্রো ও দানিলো প্রথম ম্যাচের পর থেকেই ইনজুরির কারণে দলের বাইরে। এরবাইরে মূল একাদশের বাকি সবাইকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন তিতে। সেই ম্যাচে এক গোলে পরাজিত হয় ব্রাজিল। ওই ম্যাচে একাদশে জায়গা পাওয়া গাব্রিয়েল জেসুস ও অ্যালেক্স তেলেস ইনজুরিতে পড়ে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেছেন।
সার্বিয়ার বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়া নেইমার নকআউট পর্বে ফিরতে পারবেন কি-না এনিয়ে ছিল সংশয়। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে আশার কথা শুনিয়েছেন কোচ। জানাচ্ছেন, নেইমার ফিট। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলবেন কি-না এটা পরিস্কার করেননি তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক থিয়েগো সিলভা দলে ফিরছেন। এছাড়াও সার্বিয়ার বিপক্ষে যে দল খেলিয়েছিলেন তিতে তাদের সবাইকে দেখা যেতে পারে এ ম্যাচে।
রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, নেইমার, রাফিনহা, কাসিমিরো, পাকুয়েতা, থিয়েগো সিলভা, দানিলো, অ্যালিসন; ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তাদের ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
নকআউট পর্ব কেবল নব্বই মিনিটেরই খেলা নয়। এই সময়ে ফলাফল না আসলে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়াতে পারে। সম্ভাব্য এই ১২০ মিনিটের জন্যে কি ফিট নেইমার, সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে কোচ তিতে দিয়েছেন কৌশলী জবাব। তার ভাষ্য, মেডিকেল টিম নেইমারকে খেলার অনুমতি দিলে শুরু থেকেই সেরা স্কোয়াড নামাব।
বিশ্বকাপে ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া এরআগে কখনও মুখোমুখি হয়নি। তবে দল দু'টি সাতবার খেলেছে একে অন্যের বিপক্ষে। ব্রাজিল জিতেছে ৬টি ম্যাচ, ১৯৯৯ সালে এক প্রীতি ম্যাচে কেবল জয় পেয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। চলতি বছর এক প্রীতি ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল যেখানে ব্রাজিল জিতেছিল ৫-১ গোলে। ব্রাজিলের হয়ে জোড়া গোল করেছিলেন নেইমার। বাকি তিন গোল করেছিলেন রিচার্লিসন, ফিলিপে কুতিনহো ও গাব্রিয়েল জেসুস।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে নামবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ও ২০০২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট দক্ষিণ কোরিয়া।