করোনাকালে ক্রিকেটাররা ব্যস্ত ঠাসা সিরিজ সূচি নিয়ে। তারওপর রয়েছে পরিবার-পরিজন ছেড়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ে বন্দী থাকার ধকল। এতে করে ক্রিকেটারদের ওপর ভর করছে মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি। এ ব্যাপারটাই ভাবিয়ে তুলেছে বিসিবি'র কর্তা-ব্যক্তিদের।
নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক কথাটা স্বীকার করে নিলেন, ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এখন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা। যারা জাতীয় দলে নিয়মিত। তাদের কথা একটু মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করুন। তারা কতদিন বাইরে। হিসেব করে দেখেন আসলেই কঠিন।’
ক্রিকেটারদের শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে উৎফুল্ল রাখতে পালা বদল করে গুরুত্বহীন ম্যাচ গুলতে সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বোর্ডে। সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে এমনটিই জানালেন রাজ্জাক, ‘আমরা শুধু পারফরম্যান্স দেখতে চেষ্টা করি। কিন্তু এটাও বিবেচনায় রাখা উচিত। যারা ক্রিকেট নিয়ে কথা বলে তাদের এসব হিসেব করা উচিত। কারণ খুবই স্বাভাবিকভাবে এরকম একটা চিন্তা করা হচ্ছে যেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিশ্রাম দেওয়া যায় ক্রিকেটারদের।'
শোনা যাচ্ছে, জিম্বাবুয়ে সফরে সিনিয়র ক্রিকেটার ছুটি নিতে চাচ্ছেন। রাজ্জাক জানান ব্যাপারটা তার জানা নেই, 'আমি এখনো জানি না কেউ বলেছে যে আমি থাকতে পারব না। এখনো কেউ বলেনি।’
পুরো শক্তির দল নিয়েই জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে দল।নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকের কণ্ঠে ভেসে এলো তেমন সুর, ‘জিম্বাবুয়ের মাটিতে জিম্বাবুয়ে সহজ প্রতিপক্ষ নয়। বাংলাদেশের মাটিতে হলে বলতাম তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ। আমি কোনোভাবেই খেলোয়াড়দের ছুটি দেওয়ার পক্ষে নই।’
চলমান ডিপিএলে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমদের পরিবার নিয়ে থাকার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও কি পরিবার সঙ্গে রাখার সুযোগ পাবেন খেলোয়াড়রা? এই বিষয়টি অবশ্য বোর্ডের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন রাজ্জাক।