ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগকে (ডিপিডিএল) সামনে রেখে বুধবার, ২৬ মে টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট ২৬৯ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছিল। তাতেই ৭ ক্রিকেটার ও ২ কর্মকর্তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় করোনা টেস্টে ৯ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। তার মানে, তাদের প্রথম করোনা টেস্টের রিপোর্ট ছিল ফলস।
বিসিবি’র একটি সূত্র বলছে, ‘নয়জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। সেগুলো ফলস পজিটিভ কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের ফের পরীক্ষা করিয়েছিলাম আমরা। পরের পরীক্ষায় নয়জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।’
রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল ক্রিকেটার নাহিদুল ইসলাম (প্রাইম ব্যাংক), অমিত মজুমদার (প্রাইম ব্যাংক), মনির হোসেন (প্রাইম ব্যাংক), পিনাক ঘোষ (লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ), রেজাউর রহমান রাজু (প্রাইম দোলেশ্বর), শাহীন আলম (আবাহনী লিমিটেড) ও নাঈম ইসলাম জুনিয়রের (ব্রাদার্স ইউনিয়ন)। কর্মকর্তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন- তৌকির খান (প্রাইম দোলেশ্বর) ও আবু রেজা মোহাম্মদ শরিফুল হাসান (ব্রাদার্স ইউনিয়ন)।
আন্তর্জাতিক সিরিজগুলোতে ক্রিকেটারদের জন্য যেমন জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হয়। ঘরোয়া এ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জন্য একই ধরনের বলয় তৈরি করা হবে। আসরের ১২টি দলকে রাখা হবে রাজধানীর চারটি পাঁচ তারকা হোটেল- ইন্টারকন্টিনেন্টাল, আমারি, ওয়েস্টিন ও ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটনে। যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন তারাই উঠবেন পাঁচ তারকা হোটেলে।
গত বছর ১৫ মার্চ করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই শুরু হয়েছিল ডিপিডিএল। পরে দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে ২০১৯-২০ মৌসুমের আসরটি এক রাউন্ড পরই স্থগিত হয়ে যায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষে দেশের ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টটি ফের মাঠে গড়াচ্ছে ৩১ মে। প্রায় ১৪ মাস বিরতি দিয়ে টুর্নামেন্টটি হচ্ছে অবশ্য টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।