জয়টা নিশ্চিতই ছিল। ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। এক উইকেটের ঘাটতি। চতুর্থ দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ২০ মিনিটের মতো। পাঁচ ওভার খেলে জিম্বাবুয়ে দলীয় স্কোরে যোগ করেছে মাত্র ১১ রান। ফলে পাকিস্তান জিতেছে ইনিংস ও ১৪৭ রানে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটাই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়। দাপুটে এ জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল অতিথি পাকিস্তান।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবের এ ম্যাচে একটি মাইলফলকও স্পর্শ করেছে পাকিস্তান। লাল বলের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো টেস্টে পাকিস্তানের তিন বোলার শিকার করলেন পাঁচ উইকেট। এ নিয়ে এমন কৃতিত্ব ক্রিকেট অনুরাগীরা উপভোগ করল ষষ্ঠবার। ১৯৯৩ সালের পর এই প্রথম ঘটল এমনটা।
হাসান আলি ও নোমান আলি আগেই পাঁচ উইকেট শিকার করে রেখেছিলেন। শেষ দিনে বাকি থাকা একমাত্র উইকেটটি নিয়ে রেকর্ডে নাম লেখান শাহীন শাহ আফ্রিদি।
আগুনে বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন-আপে প্রথমে ধস নামান সিরিজ সেরা হাসান আলি। ২৭ রান খরচায় একাই শিকার করেন ৫ উইকেট। তাতেই প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচ সেরা আবিদ আলির (২১৫*) হার না মানা দ্বিশতকের ওপর ভর করে পাকিস্তান ৮ উইকেটে ৫১০ রানের পাহাড় গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করায় ফলো-অনে নামে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ব্যাট হাতে নামতেই এবার বল হাতে জ্বলে ওঠেন নোমান আলী ও শাহেন শাহ আফ্রিদি। নোমান ও শাহিন নেন ৫টি করে উইকেট। ফলে ২৩১ রান থামে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস।
এ ইনিংসে অবশ্য ভালো ব্যাটিং করেছে জিম্বাবুয়ে। ৮০ রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রেগিস চাকাবা। আর এক রানের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি মিস করেন ক্যাপ্টেন ব্রেন্ডন টেলর।