সামনে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ। তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে ১৬ মে ঢাকায় পা রাখবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সিরিজের খেলা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বাংলাদেশের যে চ্যানেলেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ সম্প্রচার করুক না কেন। ম্যাচ সম্প্রচারের যাবতীয় বিষয় দেখভাল করে ভারতীয় মিডিয়া ক্রুরা। ক্যামেরা ক্রু থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল ক্রু সবাই আসে ভারত থেকে। সবসময় ভারত থেকে ক্রু এসে সম্প্রচারের সকল ব্যবস্থা করে।
কিন্তু এখন ভারতবর্ষে চলছে করোনা মহামারি। দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি এখন খুবই ভয়াবহ। সেখান থেকে কেউ আসলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রু এনে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজ টেলিভিশনে সম্প্রচার করা প্রায় অসম্ভব।
তবে এখনই আশা ছাড়ছে না বিসিবি। কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মেনে ভারত থেকে ক্রু এনে সিরিজ সম্প্রচার করা যায় কিনা সেটাই চেষ্টা করছে বোর্ড।
শনিবার, ৮ মে বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘ক্রু আনা এখন অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ। সরকারের নিজস্ব একটা প্রোটোকল রয়েছে। প্রটোকলের মধ্যে থেকে ক্রু আনা যায় কিনা সেই চেষ্টাই করছি আমরা।’
ভারত থেকে টিভি ক্রু আনা না গেলে বিকল্প চিন্তা করে রেখেছে বিসিবি। ভারতের বদলে অন্য কোনো দেশ থেকে টিভি ক্রু আনার চিন্তাই করছে বোর্ড। এ নিয়ে সুজন বলেন, ‘অন্য যে অপসনগুলো রয়েছে সেগুলো চেষ্টা করছি। বিশ্বের অন্য জায়গায় যেখানে ক্রিকেট ইভেন্ট হয়। চেষ্টা করছি। দরকার হলে সেখান থেকে টিভি ক্রু এনে খেলা চালাবো।’
সিরিজের টিভি স্বত্ব এখনো বিক্রি করেনি বিসিবি। কিন্তু সিরিজ মাঠে গড়াচ্ছে ২৩ মে থেকে। তার আগে টিভি স্বত্ব বিক্রি করে ভারত বা অন্য দেশ থেকে টিভি ক্রু এনে ম্যাচ সম্প্রচার করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে কি সিরিজ পেছানো হবে?
কিন্তু সুজন বলছেন ভিন্ন কথা, ‘সিরিজ সূচি পেছানোর কোনো সম্ভাবনা এখন আমরা দেখছি না। ক্রুদের আনায় চ্যালেঞ্জ তো কিছুটা আছেই। এজন্য আমরা অন্য উৎস ব্যবহার করে ঝামেলা এড়ানোর জন্য কাজ করছি।’
বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী সুজন আরও জানান, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল বাংলাদেশে এসে তিন দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবে। আর শ্রীলঙ্কা সফর থেকে আসা টাইগার ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টিন পর্ব কমানোর জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বোর্ড। সঙ্গে বোর্ড কর্তারা চেষ্টা করছে সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের কোয়ারেন্টিন পর্বও কমানোর জন্য।