অভিষেক টেস্টেই আলো ছড়ালেন প্রবীণ জয়াবিক্রম। বিধ্বংসী স্পিন জাদুতে সবার নজর কাড়েন তিনি। ঘূর্ণি বিষে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে নেন রেকর্ড ৬ উইকেট। দ্যুতি ছড়িয়ে টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংসে পান আরও পাঁচ উইকেট।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন ২০ বছরের জয়াবিক্রম। এ জন্য বাঁ-হাতি এ স্পিনার খরচ করেন ১৭৮ রান। প্রথম ইনিংসে দেন ৯২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে দেন ৮৬ রান।
এতেই লিখে ফেলেছেন নতুন ইতিহাস। গড়েছেন নতুন বিশ্ব রেকর্ড। টেস্ট অভিষেকে বাঁ-হাতি স্পিনারদের এটাই সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। সঙ্গে সব মিলিয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডে রয়েছেন দশম স্থানে।
বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে ছিলেন আলফ ভ্যালেন্টাইন। ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৯৫০ সালে ম্যানচেস্টার টেস্টে ২০৪ রান খরচ করে ১১ উইকেট শিকার করে ছিলেন এ ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। ৭১ বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন বিশ্ব রেকের্ডের মালিক গেলেন জয়াবিক্রম।
স্পিনার হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা অবশ্য নরেন্দ্র হিরওয়ানির। ১৯৮৮ সালে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১৩৬ রানে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের সাবেক এ ডান-হাতি স্পিনার। তার আগে লর্ডসে ১৯৭২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৭ রান দিয়ে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বব ম্যাসি।
১৬তম বোলার হিসেবে টেস্ট অভিষেকে কমপক্ষে ১০ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করলেন জয়াবিক্রম। ১৯৮০ সালের পর চতুর্থ বোলার হিসেবে অভিষেকে কমপক্ষে দশ উইকেট শিকারের রেকর্ড ছুঁলেন এই তরুণ ক্রিকেটার।
শ্রীলঙ্কার হয়ে এই প্রথম কীর্তিটি গড়লেন বাঁ-হাতি স্পিনার জয়াবিক্রম। আর ২০০৮ সালের পর অভিষেকে এই প্রথম কোনো বোলার এমন দুরন্ত পারফরম্যান্স উপহার দিলেন।