সকালের সেশনে দুর্দান্ত শুরু করে ছিল টাইগাররা। বল হাতে প্রতাপ দেখিয়ে শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। ৬ রানের ব্যবধানে এ তারকা পেসার ফেলে দেন সেঞ্চুরিয়ান লাহিরু থিরিমান্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের উইকেট। ২৯৮ বলে ১৫ বাউন্ডারিতে ১৪০ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার থিরিমান্নে।
দ্বিতীয় দিন ব্যক্তিগত স্কোরে মাত্র ৯ রান যোগ করেন থিরিমান্নে। তাসকিনের বলে উইকেটের পিছনে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন এ সেঞ্চুরিয়ান। ১০৪ রানে থামে লাহিরু থিরিমান্নে ও ওশাদা ফার্নান্ডোর দ্বিতীয় উইকেটের পার্টনারশিপ। পরে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেটটি তাইজুল ইসলাম নিলে প্রথম সেশনটা নিজেদের করে ফেলে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
কিন্তু মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর ফের ব্যাটিংয়ে দাপট দেখাতে থাকে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। দলীয় স্কোরে লঙ্কানরা ৫৪ রান যোগ করতেই ফের বল হাতে জ্বলে উঠে টাইগার বোলাররা। দলীয় ৩৮২ রানের মাথায় তাসকিন ফেলে দেন পাথুম নিসানকার উইকেট। তাসকিনের এটি তৃতীয় উইকেট। পরে শূন্য রানের ব্যবধানে ওশাদাকে শতক বঞ্চিত করেন মেহেদী হাসান। ২২১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৮১ রান করে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ওশাদা। দ্বিতীয় দিনে তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান।
চা বিরতির পর ফের ব্যাটিং দাপট দেখাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা ৪৬৯ রানের পুঁজি দাঁড় করাতেই আলোর স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে আর মাঠে খেলা গড়ায়নি। দ্বিতীয় দিন শেষ হয় এখানেই। তার আগে মাঝে একবার বৃষ্টির কারণে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল।
ওয়ানডে স্টাইলে খেলে শতকের পথে রয়েছেন নিরোশান ডিকভেলা। ৬৪ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬৪* রান নিয়ে ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ২২* রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দিয়ে চলেছেন রমেশ মেন্ডিস। ৮৭ রানে এখনো অবিচ্ছিন্ন রয়েছে তাদের সপ্তম উইকেটের জুটি।
শ্রীলঙ্কার প্রথম চার ব্যাটসম্যানের ক্যাচই নিয়েছেন টাইগার উইকেটরক্ষক লিটন। যার দুটি উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। বাকি উইকেট দুটি ভাগ করে নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মিরাজ। প্রথম দিন ২৯১ রানে বাংলাদেশ নেয় দিমুথ করুনারত্নের একমাত্র উইকেট। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুই সেশন মিলে অতিথিরা শিকার করেছে পাঁচ উইকেট। দিন শেষে লঙ্কান দলীয় স্কোরে যোগ হয়েছে ১৭৪ রান।
এক উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। লাহিরু থিরিমান্নে দিন শুরু করেন ১৩১ রান নিয়ে। আর ওশাদা ফার্নান্ডো মাঠে নামেন ৪০ রান নিয়ে। অভিষিক্ত বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটের পিছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দিমুথ করুনারত্নে। ১৯০ বলে ১৫ বাউন্ডারিতে ১১৮ রানের দুরন্ত এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন এ তারকা ওপেনার।
দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নের রেকর্ড গড়া উদ্বোধনী পার্টনারশিপ থামে ২০৯ রানে। প্রথম টেস্টে লঙ্কান ক্যাপ্টেন করুনারত্নে খেলেছিলেন ২৪৪ রানের অনন্য এক ক্রিকেটীয় ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৪৬৯/৬, ১৫৫.৫ ওভার (থিরিমান্নে ১৪০, করুনারত্নে ১১৮, ওশাদা ৮১, ডিকভেলা ৬৪* ব্যাটিং, নিসানকা ৩০ ও রমেশ ২২* ব্যাটিং; তাসকিন ৩/১১৯, তাইজুল ৮৩/১, শরিফুল ১/৯১ ও মিরাজ ১/১০২)।
#দ্বিতীয় দিন শেষে